কাউখালীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, লাশ ফেলে স্বজনদের পলায়ন
কাউখালী প্রতিনিধি:
কাউখালীর নাইল্যাছড়িতে ১২ বছরের এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরীর নাম সামশুন নাহার। সে উত্তর নাইল্যাছড়ির জনৈক বাবুল মিয়ার কন্যা এবং নাইল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এ কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলেছে, বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুরতুজা রশীদ বলেছেন প্রাথমিকভাবে বিষপানের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে ঐ কিশোরীর মৃত্যুর পর হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে স্বজনরা। শনিবার রাত সাতটায় এ ঘটনা ঘটে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নীলূ কান্তি বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং হাসপাতাল থেকে মৃত দেহটি উদ্ধার করে রাঙামাটির মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের উত্তর নাইল্যাছড়ির জনৈক বাবুল মিয়ার কিশোরী কন্যা সামশুন নাহারকে তার পিতা-মাতা প্রায় সময় মারধর করতো। শনিবার সন্ধ্যায়ও মারধর করেছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর সামশুন নাহারকে মুমূর্ষ অবস্থায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ও খোকন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মুরতুজা রশীদ ঐ কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার পিতা-মাতা হাসপাতালে এসে সামশুন নাহার বিষপান পান করেছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তারকে জানালেও ডা. মুরতুজা রশীদ জানিয়েছেন, বিষ খাওয়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। সামশুন নাহারকে মৃত ঘোষণার কথা শুনেই তার সঙ্গে থাকা পিতা-মাতা ও অন্যান্য অভিভাবকরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে কাউখালী থানা পুলিশ রাত সাড়ে দশটায় থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত কাউখালী থানার এস,আই গোলাম কিবরিয়া ও এস,আই সামশুজ্জামান জানান, বিষপানে ঐ কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। তবে কর্তব্যরত ডাক্তার এবং পুলিশের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য এবং লাশ ফেলে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের হাসপাতাল থেকে পলায়নের কারণে এ মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।