কাপ্তাই হ্রদের মাছ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব: চিনু এমপি
স্টাফ রিপোর্টার:
এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদক সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জেলা ও দেশের মানুষের মৎস্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব। তারই ধারবাহিকতায় বর্তমান সরকার পাহাড়ে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হতদরিদ্র জেলে পরিবারগুলোকে রেশন প্রদানের পাশাপাশি এখানে প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের বিনামূল্যে মাছের পোনা প্রদান করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যা ফিরোজা বেগম চিনু এমপি।
সোমবার রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মূল্যায়ন সভা ও মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা রহমান শম্পা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য বিভাগের আহ্বায়ক সাধন মনি চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক মৎস্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান।
ফিরোজা বেগম চিনু আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের বেকার যুবকদের ক্রীকের মাধ্যমে মৎস্য চাষ করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির করা গেলে বেকারত্ব অনেকাংশে কমে আসবে। এতে করে মাছের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মা মাছেরা ডিম পারার সময় যে ৩মাস মৎস্য শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়, সেই ৩মাস জেলেদের মাছ মার থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি কারেন্ট জাল ও ঝাঁক দিয়ে মাছ মারা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলায় তিনজন সফল মৎস্যচাষীকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ২৫জন দরিদ্র মৎস্যচাষীকে বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহ করা হয়।