জাহাজ চলাচল বন্ধ

কেমন আছেন সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা

fec-image

দেশে ভ্রমণপিপাসুদের তালিকার প্রথমেই থাকে বাংলাদেশে একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। এবছর ২৭ অক্টোবর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে চলতি মৌসুমে প্রথম এমভি বারো আউলিয়া জাহাজকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটক পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ যায়। ফলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়ে কয়েকশত পর্যটক।

এদিকে দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা, হোটেল-রিসোর্টগুলোর কর্মচারীসহ প্রায় ১২ হাজারের মতো লোক রয়েছেন। দ্বীপে তরিতরকারি, ডিম, বয়লার মুরগি নেই। কিছু দোকানে আলু, চাল ও ডাল রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরাও বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারাও নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

পর্যটকরা জানান, আটকা পড়া সাড়ে তিনশ পর্যটক এখন হোটেল রেস্তোরাঁয় পছন্দসই খাবার পাচ্ছেন না। দ্বীপে নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে জীবন বাঁচানোর তাগিদে ডাল-ভাত খেয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। বিশেষ করে শিশু খাদ্যের সংকট প্রকট আকারে ধারণ করেছে বলেও জানান পর্যটকরা।

এদিকে, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে গত ২৭ সেপ্টেম্বর একটি স্পিডবোট উল্টে একজন সাবেক নারী ইউপি সদস্য মারা যাওয়ায় কোস্টগার্ড এই নৌপথে সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর ছয় দিন ধরে টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের পণ্যবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনে আসেনি। এ জন্য শাকসবজি, তরিতরকারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপে।

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন বলেন, আবহাওয়ার অধিদপ্তরের জারি করা সতর্কসংকেত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত বলবৎ থাকায় পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসেনি। ফলে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের আজও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, দ্বীপে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু দোকানে অল্প পরিমাণ আলু, চাল ও ডাল রয়েছে। এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরাও বন্ধ রয়েছে। দ্বীপে প্রায় ১২ হাজারের মতো লোক এখন নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

খাদ্য সংকটের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে নিত্য পণ্য সামগ্রিক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে সার্ভিস ট্রলারে করে মালামাল পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো ধরনের পর্যটক পরিবহন করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন