খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করলেও তৃণমূল বিএনপি ও জাতীয় পাটির প্রার্থী জাল ভোটের অভিযোগ এনেছেন।
জেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্য ছাড়াও র্যাব, সেনাবাহিনী সদস্যরা টহলে রয়েছে।
খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপির পাশাপাশি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ ভোট বর্জন করে ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য বলে। প্রচারণার সময় জেলার লক্ষ্মীছড়িতে নৌকার প্রার্থী ও পানছড়িতে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি হামলার ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছে।
ইউপিডিএফ ভোট বর্জনের পাশাপাশি ভোটারদের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তবে তিনি নিজের বিজয়ের আশাবাদী।
অপরদিকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যৈপ্রু মারমা ভোটারদের হুমকি ও কয়েকটি কেন্দ্রের আশ-পাশে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য গুলি বর্ষণের অভিযোগ করেছে। এছাড়া জাতীয় পাটির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোটের অভিযোগ করেছেন।
খাগড়াছড়ি আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা (সোনালী আঁশ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা (আম প্রতীক)।
খাগড়াছড়ি একটি মাত্র আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নতুন ভোটার ৭৩ হাজার ৬০৩ জন। খাগড়াছড়ি আসনের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক উপজাতি।