খাগড়াছড়িতে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙালী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা

শিশু ধর্ষণ

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

গেল বছরের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের শুরুতেই পার্বত্য খাগড়াছড়িতে বাঙ্গালী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গামারীঢালা নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

 

শিশুটি খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গামারীঢালার বাসিন্দা দিনমজুর মো: শাহ আলমের কন্যা এবং ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। খাগড়াছড়ি পুলিশ বাঙ্গালী স্কুল ছাত্রীকে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

ঘটনা বিবরণে জানা গেছে, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে গামারীঢালা বৌদ্ধ ক্যায়াং‘র পিছনে গরু আনতে গেলে সেখানে পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা এক উপজাতীয় যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটির শোর-চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এলে উপজাতীয় যুবকটি পালিয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক, খাগড়াছড়ির সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থল থেকে বাঙ্গালী মেয়েটি মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাঙ্গালীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বাঙ্গালী গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষী পাহাড়ী যুবককে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এলাকায় এখনো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ঘটনার শিকার বাঙ্গালী স্কুল ছাত্রীর মা-বাবা পার্বত্যনিউজকে বলেন, আমরা বাঙ্গালী তার উপর আবার গরীব তাই উপজাতিরা বার বার আমাদের উপর নির্মম হামলা করেও রেহাই পেয়ে যায়। তাদের কোন বিচার হয়না। তারা তাদের অসুস্থ মেয়ের দ্রুত সুস্থতা ও দোষী উপজাতীয় যুবকের শাস্তি দাবী করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পার্বত্যনিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি বিষের বোতল, একটি রশি ও যুবকটির স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুব সম্ভবত শিশুটিকে ধর্ষণের পর বিষ প্রয়োগ কিংবা গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার কৌশল ছিল। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দাযের করা হয়েছে। মামলা নং- ২, তারিখ: ৩-১-২০১৫। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বাঙালী নারী শিশুদের ধর্ষণ প্রবণতা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন