খাগড়াছড়ি ডাক্তারের অবহেলায় শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি বাস মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য চাঁদের গাড়ির চালক রুপম দে ডাক্তারের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছ অভিযোগ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের বাস মিনি বাস শ্রমিক ্ ইউনিয়ন ও সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপ যৌথভাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় বুধবার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত গাড়ির চালক রুপম দে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তারের অবহেলায় চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ঘটনা তদন্তে ডা. আব্দুর রউফকে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ কমিটিকে প্রত্যাখান করেছে। তাদের দাবি প্রসাশনের সকল বিভাগ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
কেন না শুধুমাত্র ডাক্তারদেরকে নিয়ে গঠিত এ কমিটি এক পেশে বলে উল্লেখ করেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা আগামী সোমবারের মধ্যে কর্তব্যরত দুই ডাক্তারকে প্রত্যাহার করা না হলে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, মালিক গ্রুপের সভাপতি এসএম শফি, কাউন্সিলর শাহ আলম ও শ্রমিক নেতা মো. আজিম। উল্লেখ্য বুধবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি চেঙ্গী ব্রীজ এলাকায় ট্রাক ও চাঁদের গাড়ী (জীপ) এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে চাঁদের গাড়ীর চালক রুপমসহ ৩ জন আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাদের গাড়ি চালক রুপম মারা যায়। শ্রমিকরা হাসপাতাল ঘেরাও করে ভাংচুর করে। একইভাবে শহরের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার (যেখানে সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা চেম্বার করে) হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। জেলা সদর হাসপাতাল ও লাইফ কেয়ার ও দুটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে নিহত রুপমের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি মহালছড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। আর এমও ডা. নয়ন ত্রিপুরা জানান গতকাল রাতে হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ত্রিতন চাকমা। ডাক্তারের অবেহলায় শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।