পাহাড়ে জেএসএসের সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে বান্দরবানে মানববন্ধন

Bandarban pic-23.6

স্টাফ রিপোর্টার:

পাহাড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অপহরণ, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মং প্রু মারমার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার সচেতন জনগণের ব্যানারে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্নস্তরের শত শত নারী পুরুষ প্লেকার্ড, ব্যানার এবং ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসা প্রু, অজিত দাশ প্রমূখ।

বক্তরা বলেন, অধিকার আদায়ের আন্দোলনের কথা বলে পাহাড়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে জেএসএস। পার্বত্যাঞ্চলের জেএসএস অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পাহাড়ের সাধারণ জনগণ।

পাহাড়ে সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার, কাঠ ব্যবসায়ী এবং পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে জেএসএস-এর অস্ত্রধারীরা। পাহাড়ে বর্তমানে কেউই নিরাপদ নয়। জেএসএসের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নির্মূলে অবৈধ অস্ত্র ও অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধারে পার্বত্যাঞ্চলে র‌্যাবের বিশেষ অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

প্রঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন রাতে জামছড়ি পাড়া থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মং প্রু মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় অপহৃতের আত্মীয় হ্লামংচিং মারমা বাদী হয়ে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে বান্দরবান সদর থানায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের মামলায় পুলিশ জেলা জনসংহতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক উচচিং মারমা (৩৮) এবং জেএসএস নেত্রী মেহ্লাচিং মারমা (৩৫) নামে দু‘জনকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য শীর্ষ নেতারা গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “পাহাড়ে জেএসএসের সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে বান্দরবানে মানববন্ধন”

  1. পারর্বত্য চট্টগ্রামবাসি 1947 এ পাকিস্থান প্রতিষ্টার পরেও তা মানতে পারেনি – 1971 এ ও এক শ্রেনির পার্বত্য চট্টগ্রামবাসি বাংলাদেশের স্বাধিনতা মানতে পারেনি – অথচ শত সহস্য পার্বত্যবাসি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিরত্বের সাথে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন – তা ছাড়া ভৌগোলিক কারণে (ভারতিয় ত্রিপুরা রাজ্যের সিমান্ত) অনেক বিরত্ব গাথা রয়েছে এ ভূখন্ডের – কিন্তু রাজাকার – আল বদর – আল শামস – শান্তি কমিটি -জামাত শিবির -হেফাজত সহ অন্যান্য ধর্ম ভ্যবসায়িদের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদি হয়ে পড়েছে – শরদিন্দু শেখর চাকমার বই পরে এ বিষয়টি আরো স্পষ্ট হযেছে – পার্বত্যবাসিরা আসলে সঠিক দিক নির্দেশনা পাচ্ছে না আজো –

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন