খাগড়াছড়িতে ১৭মাস থেকে বন্ধ আছে পার্সপোর্ট কার্যক্রম

487274_356582424455553_1631635007_n

মু.আব্দুল হালিম, খাগড়াছড়ি

সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও একমাত্র জেলা প্রশাসকের অবহেলার কারণে ১৭ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি পার্সপোর্ট কার্যক্রম। র্দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় জেলার ৮টি উপজেলার লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির স্বীকার  হচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সার্বিক বিষয়ে পিছিয়ে থাকা পার্বত্য এ জেলায় ২০০৮ সালের ৯জুন থেকে পার্সপোর্ট কার্যক্রম চালু হওয়ায় এ এলাকার মানুষেরা খুব সহজেই পাসপোর্ট করে আসছিল। এভাবে প্রায় ৫ হাজার ৭শত ২জন লোকের পার্সপোর্ট  করেছে। কিন্তু ডিজিটাল কার্যক্রম চালুর পর থেকে  প্রয়োজনীয় অফিস, কার্যক্রমরে স্থান ও যন্ত্রপাতি না থাকার খোড়া অযুহাতে ২০১১সালের ২০ অক্টোবর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এ জেলার পার্সপোর্ট কার্যক্রম।  এতে বিপাকে পড়ে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। ফলে নিজ জেলা রেখে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরবর্তি রাঙ্গামাটি জেলা শহরের গিয়ে পার্সপোর্ট করতে হয় তাদের।  এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। এদিকে, শহরের কতিপয় সচেতন লোকেরা কষ্ট করে পাসপোর্ট করতে পারলেও প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক মানুষই তা পারছে না। অনেকে জরুরী ভিত্তিত্বে পার্সপোর্ট প্রয়োজন হলেও দূরবর্তি এলাকা পেরিয়ে তা করতে না পারায়  অনেকের বিদেশের যাওয়ার স্বপ্ন অকালেই নষ্ট হয়ে যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, খাগড়াছড়িতে পাসপোর্ট কার্যালয় চালুর ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে ২০১১ সালের ২৯মে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ে উপ-সচিব সরিমুল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে ৪০০০/৪৫০০ বর্গফুট স্থান নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমআরপি কার্যক্রম জন্য অফিস চালু করতে। কিন্তু তৎকালীন জেলা প্রশাসক আনিস-উল-হক অপর একটি চিঠি লিখে পাসপোর্ট অফিসের জন্যে নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা নেই বলে জানিয়ে দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম। আর এখন পর্যন্তও তা বন্ধ আছে।

বর্তমান নতুন জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম প্রথমে দিকে নানা কর্মসূচি পালন করলেও কিছু অতি উৎসাহী কাজ করায় তিনিও বর্তমানে বির্তকিত হয়ে পড়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিন শরীফ সওদাগর পার্বত্য নিউজ ডটকমকে জানান, অনেক দিন থেকেই পাসপোর্ট  করতে চাই। কিন্তু খাগড়াছড়ি থেকে একশত কিঃমিঃ দূরে রাঙ্গামাটি গিয়ে পাসপোর্ট করতে হবে এগুলো একটি রীতিমত কষ্ট ও ভোগান্তির ব্যাপার। সরকার আমাদেরকে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত করছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম জানান, পার্সপোর্ট অফিসের কার্যক্রম চালানোর জন্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোন আদেশ আসেনি। তবে না আসলে অন্য স্থানে অফিস স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন