খাগড়াছড়ি আসনে আরো যারা প্রার্থী হতে পারেন

fec-image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরেও আরো কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল প্রার্থী দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আঞ্চলিক সংগঠন, ইউপিডিএফ (প্রসীত), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জেএসএস (এমএন লারমা)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি(এ) থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সোলায়মান আলম শেঠ। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩শ’ ৪৩ ভোট। তিনি এবারও খাগড়াছড়ি আসন থেকে নির্বাচন করবেন তা প্রায় নিশ্চিত। কারণ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিয়মিত খাগড়াছড়িতে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো হয়েছে তার পক্ষে।

নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী সোলাইমান আলম শেঠ পার্বত্যনিউজকে বলেন, তিন পার্বত্য জেলা এরশাদের সৃষ্টি। তার আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানেও হয়েছে। তবে উন্নয়ন বৈষম্য এড়াতে খাগড়াছড়িতে একজন বাঙালী প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। খাগড়াছড়িতে এমন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে, যিনি শিল্পকারখানা, পর্যটন, বিশ^বিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠান গড়তে ভূমিকা রাখবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে খাগড়াছড়ি আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা শাখার সভাপতি আ. জব্বার গাজী। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ২ হাজার ৯শ’ ৩৭ ভোট। এবারও প্রার্থী হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দল এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। খাগড়াছড়ি আসনে জনসমর্থনের দিক দিয়ে বার বার তৃতীয় স্থান দখল করে আসছে ইউপিডিএফ (প্রসীত) প্রার্থী। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে ইউপিডিএফ (প্রসীত) মনোনীত প্রার্থী ছিলেন নতুন কুমার চাকমা। তিনি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার ৩শ’ ৪০ ভোট। এবারও তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ২০০১ সাল থেকে খাগড়াছড়ি আসনে ইউপিডিএফ (প্রসীত) প্রার্থী দিয়ে আসছে। প্রতিবারই তাদের প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫০ হাজারের উপরে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় বক্তব্য জানার জন্য ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সাথে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খাগড়াছড়ি আসনে জেএসএস (এমএন লারমা) এবারও প্রার্থী দেবে কিনা নিশ্চিত নয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসএস (এমএন লারমা) খাগড়াছড়ি আসনে মৃণাল কান্তি ত্রিপুরাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তখন তিনি প্রায় ১২ হাজার ভোট পান। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসএস (এমএন লারমা) খাগড়াছড়ি আসনে প্রার্থী না দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এবার প্রার্থী দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেএসএস (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। সংগঠন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংগঠন পরে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী দেয়নি। জনশ্রুতি রয়েছে, তারা সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

এবার প্রার্থী দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষপট কোন দিকে যাচ্ছে, কে ক্ষমতায় আসতেছে, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবো। এখানে অনেক ব্যাপারা-স্যাপার আছে। অতীতের অনেক নির্বাচন আমরা দেখেছি, এবার তেমন হবে না।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলাম খাগড়াছড়ি আসনে এবার প্রার্থী দিচ্ছে কিনা নিশ্চিত নয়। ২০১৪ সালের পর থেকে তাদের কোনো তৎপরতাও খাগড়াছড়িতে নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন