খুটাখালীতে মৎস্যঘেরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, শ্রমিকদের মারধর করে মালামাল লুট
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বহলতলী, চিলখালী, চিলখালী ছোটচর, চিলখালী বড়চরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতেরা লুট করে নিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ছাগল। শ্রমিকদের মারধর ও বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সৌরবিদ্যুতের প্লেট, ব্যাটারি, ব্যবহারের মোবাইল, লুঙ্গি, লবণমাঠের পলিথিনসহ অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামালা নিয়ে গেছে সশস্ত্র ডাকাতদল।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের বেপরোয়া মারধরে ২৫ জনের মতো শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, আরমান, জালাল আহমদ, সাহাব উদ্দিন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।
ডুলাহাজারা কাটাখালীর ইউনুছ, এনাম, মো. কালু, সোনাইয়া, রহিম, মোস্তাকসহ ৪০ জনের মতো সশ্রস্ত্র ডাকাতদল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
আহত শ্রমিক সাহাব উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই সশস্ত্র ডাকাতদল মৎস্যঘেরে হানা দেয়। এলোপাতাড়ি মারধর করে। সৌরবিদ্যুতের প্লেট, ব্যাটারি, ব্যবহারের মোবাইল, লুঙ্গি, লবণমাঠের পলিথিনসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু গুলিরমুখে লুট করে নিয়ে গেছে।
ডাকাতদের অধিকাংশ চিহ্নিত। সবার হাতে আধুনিক অস্ত্র ছিল। তাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় নি। অনেকটা নির্বিকার ও অসহায় ছিল মৎস্যঘেরের শ্রমিকেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ আমাদের জানায় নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
ঘের মালিকদের অভিযোগ, প্রতি মৌসুমেই এভাবে হানা দেয় ডাকাতদল। শ্রমিকদের মারধর করে। লুটপাট চালায়। প্রভাবশালীদের আশ্রয় পেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে চিহ্নিত অপরাধীরা। এতে মৎস্যখাতে হাজার কোটির টাকার বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। জানমালের নিরাপত্তা ও ডাকাত দমনে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।