গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা
নিউজ ডেস্ক:
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ৩য় সম্মেলন আজ শুক্রবার নগরীর চেরাগি পাহাড়স্থ ইসলামাবাদী মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ”তারুণ্যের হৃদয়ে দ্রোহের আগুন জ্বালো- প্রতিক্রিয়ার দুর্গে আঘাত হানো” এই শ্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে জিকো মারমাকে সভাপতি(পুনঃনির্বাচিত), বিজয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও শ্যামল চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার বিদায়ী কমিটির সভাপতি জিকো মারমা। তার সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম ইউনিটের সংগঠক মিঠুন চাকমা, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রজ্যবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক কমিটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন খান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিলাস চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসিং মারমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের এমএম পারভেজ লেনিন, জাতীয় ছাত্রদল চট্টগ্রামের সদস্য কাজল বড়ুয়া। এছাড়া সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সংহতি ব্যক্ত করেন গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর অঞ্চলের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয় চাকমা। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সিমন চাকমা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভা পরিচালনা করেন সুমন চাকমা।
বক্তাগণ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুব সমাজের ভূমিকা অগ্রগণ্য। যুব সমাজকে সংগঠিত করতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম আরো সক্রিয় ভূমিকা নেবে বলে আলোচকগণ আশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমি বেদখল, পাহাড়িদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা ও নির্যাতনের কোন বিরাম নেই। কখনো রাবার বাগানের নামে, কখনো উন্নয়নের নামে, আবার কখনো জোরজবরদস্তি করে পাহাড়িদের জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে। কেবল যে যৌথা মালিকানার জমি কেড়ে নেয়া হচ্ছে তাই নয়, সরকার-কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত ও বন্দোবস্তীকৃত শত শত একর জমিও সেটলারদের বেদখল করা হয়েছে ও হচ্ছে। তারা অবিলম্বে ভূমি বেদখল বন্ধ ও বেদখলকৃত জমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ ইউপিডিএফ তথা পার্বত্য চট্ট্রগামের জনগণের দাবি ও আশা-আকাঙ্খার ভিত্তিতে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে ভূমি কমিশন আইনের সংশোধনী বিল পাসের দাবি জানিয়ে বলেন, ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া ও বেদখলকৃত জমি ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত পাহাড়ে শান্তি আসবে না।