ঘুমধুমে পাহাড়কাটাসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত মেম্বারের কারাদণ্ডাদেশ
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পাহাড়কাটাসহ ৪ অপরাধে ঘুমধুমের আবুল কালাম মেম্বারের ১ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট ) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকিরপাড়া এলাকায় ইটভাটা সংলগ্ন স্থানে পাহাড় ও টিলা কর্তন ও মোচনের দায়ে এ আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া ব্যক্তি হলেন, আবুল কালাম চৌধুরী (৪০)। তিনি স্থানীয় গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মো. রেজা কর্তৃক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ -এর ধারা ৬ (খ) অনুযায়ী ০১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম চৌধুরী।
এ সময় পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।
স্থানীয়রা জানান,এ মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ইট কাটছিলো। এছাড়া বালু উত্তোলন ও বনের কাঠ কেটে ইটভাটায় বিক্রি ও অন্যান্যস্থানে ব্যবসা করে আসছিলো সে।
তারা আরও জানান,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, ঘুমধুম, সোনাইঢ়ড়ি ও বাইশারীতে অবৈধভাবে ১১ টি ইটভাটা করে ব্যবসা করে আসছিলো একদল ব্যবসায়ী। এতে অপরাধসহ মারাত্মক পরিবেশ ধ্বংস করে আসছে তারা।
এরইমধ্যে মহামান্য হাইকোর্টে নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ঘোষনা করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। আর এরই ১ দিন ইটভাটা ও অন্যান্য স্থানে বিক্রি ও ব্যবহারের জন্যে পাহাড় কাটছিলো ঘুমধুমের বর্তমান মেম্বার আবুল কালাম।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, কারাদণ্ডাদেশ দেয়া আবুল কালাম পরিষদের বর্তমান মেম্বার। তার মতো তো আরো অনেক অপরাধী রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ঘুমধুমে অনেকে কালোবাজারির সাথে জড়িয়ে কালো টাকার মালিক বনে গেছে। ফলে এলাকাটি অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়ে গেছে। আবুল কালাম ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মো. রেজা।