ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৫৫৬ সাইক্লোন শেল্টার ও ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৫৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টারসহ এক হাজারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বহুতল ভবন। পাশাপাশি সিপিপিসহ ৮ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার উপকূলের ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। যদিও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই।
এসব মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে যাতে নিরাপদে সরিয়ে আনা যায়, সেজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। কিভাবে তাদের দ্রুত সরিয়ে আনা যায়, স্বাস্থ্যবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী পরিবেশে সমুদ্র সৈকতও ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশান।