চকরিয়ায় আসামি ধরার নামে ৬টি বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট
চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে তিনটি বসতবাড়িতে আসামি তল্লাশির নামে মূল্যমান জিনিসপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে। ৯ এপ্রিল রবিবার ভোর রাত তিনটার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ৯ এপ্রিল রবিবার ভোর রাত তিনটার দিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ব্রাক্ষণপাড়া এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৬টি বসতবাড়ীতে ৮ জন পুলিশ ও ৪জন মুখোশ পরিহিত লোক বিভিন্ন কায়দায় ঘরে ঢুকে আসামি তল্লাশি করে। এসময় পুলিশ বাড়ি থেকে কোন আসামি খুজেঁ বের করতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
যে সব বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তারা হলেন, জহির আহমদের পুত্র শাহাব উদ্দিন কাজল,তার দুই ভাই হেলাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে। এ ছাড়াও মৃত আবুল শামার পুত্র রুহুল কাদের, তার ভাই শের আলম ও স্থানীয় সংখ্যালঘু পরিবার সোনাতন শীলের পুত্র রবি শীলের বাড়িতে। তন্মধ্যে শাহাব উদ্দিন কাজল,রুহুল কাদের ও রবী শীলের বাড়িতে কোন আসামি না পেয়ে পুলিশের সাথে মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে ৩টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির ব্যবহ্নত টিভি, ল্যাপটপ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট এবং ভাংচুর করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন কাজলের পিতা জহির আহমদ বলেন, আনুমানিক রাত আড়াইটার সময় পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। এসময় তাদের দরজা খুলে দেয় আমার স্ত্রী। দরজা খুলে দিলে ৮ জন পুলিশ ও ৫ জন মত মুখোশ পরিহিত যুবক তাদের বাড়িতে ঢুকে আসামি খোঁজ করতেছে বলে জিম্মি করে রাখে। তাদের হাতে অস্ত্র ও পিস্তল ছিল বলে দাবি করেন তিনি। বাড়ির সব জায়গায় খোঁজে কোন আসামি পায়নি। আসামি না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে বাড়িতে ভাংচুর চালায় মুখোশ পরিহিতরা। এনিয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।
অপরদিকে স্থানীয় সংখ্যালগু পরিবার রবী শীলের বড় ভাই সাধন শীলের স্ত্রী মেনতি শীল জানান, আসামি তল্লাসির নাম করে পুলিশ পরিচয়ে একদল মুখোশ পরিহিত যুবক তাদের বাড়িতে ঢুকে আসামি খোঁজতে থাকে। এসময় বাড়িতে কাউকে না পেয়ে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমারিতে রক্ষিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে আসামি ধরতে অভিযানে যাওয়া চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউছার উদ্দিন চৌধুরী ও এসআই আবদুল খালেক জানিয়েছেন, অস্ত্র ও চাঁদাবাজী মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি বাড়িতে অবস্থান করছে গোপন সংবাদ পেয়ে সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কোন আসামি আটক করতে পারেনি। তবে তাদের উপস্থিতিতে মুখোশ পরিহিত কোন লোক ছিল না এবং বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আমরা স্পট থেকে চলে আসার পর সেখানে কি হয়েছে তা আমরা অবগত নই।
ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে অভিযানে পুলিশ পাঠিয়েছেন বলে জানান। ভাংচুর কিংবা লুটপাট ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।