চকরিয়ায় ক্রিকেট খেলার বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ৩

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তর্কাতর্কিতে এক পক্ষের হামলায় দু’জন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৩ জনকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গর্জনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে হাবিব উল্লাহ (১৮), তাঁর বোন মালেকা বেগম (৩৪), একই এলাকার মোহাম্মদ কামালের ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব (২১) ও সাহাব উদ্দিনের ছেলে সাজীব মিয়া (১৮)। তৎমধ্যে আহত হাবিব উল্লাহ ও সাজীব মিয়া চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর উত্তর ঘুনিয়ার তুলাতুলি মাঠে গর্জনিয়া পাড়ার দুই দলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার সময় সকাল ১১টার দিকে একটি ছক্কা মারা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে দুই পক্ষ খেলা বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। ওইসময় খেলায় তর্কাতর্কির সূত্র ধরে গর্জনিয়া পাড়ার মো. ওয়াহিদ ও তাঁর চাচা জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মিরাজ, হারুনসহ ১০-১৫ জন দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা করেছে।

আহত মালেকা বেগম বলেন, ‘পাড়ার ছেলেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির খবর শোনার পর আমরা পরিবারের সদস্যরা গিয়ে নিয়ে আসছিলাম।

এসময় ওয়াহিদ নেতৃত্বে নিকট আত্মীয়রা গিয়ে আমার ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী হাবিব উল্লাহকে মারধর করে। একপর্যায়ে দায়ের কোপে হাবিব ও আইয়ুব গুরুত্বর আহত হন। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঘটনায় অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের পক্ষের লোকজন প্রথমে আমার ছেলের ওপর আঘাত করে। এতে আমার মাথা ঠিক ছিল না, যা হওয়ার হয়েছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন