চকরিয়ায় মহাসড়ক থেকে তিন শতাধিক ভাসমান দোকান উচ্ছেদ

চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চিরিঙ্গায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও অলিগলির ফুটপাত দখল করে গজে উঠা অন্তত তিন শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে দিয়েছে প্রশাসন। চকরিয়া পৌরসভার সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঝটিকা এই অভিযান চালানো হয় রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। অভিযানের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলরত যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ডও সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পর পরই গুটিকয়েক ভাসমান ব্যবসায়ী ফের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারের রমজানের ঈদ উপলক্ষ্যে পৌরশহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র চিরিঙ্গার বড়-ছোট মিলিয়ে অন্তত ৩০টি বিপনী বিতানে চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, লামা, আলীকদমসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে ঈদের কেনাকাটা সারতে। এ সময় তারা পৌরশহর চিরিঙ্গা নেমেই শিকার হন ভয়াবহ যান এবং জনজটের। আগত নারী-পুরুষদের সেই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ দিতে অতিসম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। ওই সভায় পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌর পরিষদের কাউন্সিলর, থানার ওসি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল রবিবার পৌরশহর চিরিঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফুটপাত দখল করে যত্রতত্র বসানো অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদে অভিযান চালায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, পৌরসভার সচিব মাসউদ মোর্শেদ, কাউন্সিলর যথাক্রমে মছুদুল হক মধু, রেজাউল করিম, বশিরুল আইয়ুব, জিয়াবুল হক, মুজিবুল হকসহ সকল কাউন্সিলর। এছাড়াও পৌরসভার বিপুল সংখ্যক কমিউনিটি পুলিশ সদস্যও অভিযানে অংশ নেন।
চকরিয়া পৌরসভার সচিব মাসউদ মোর্শেদ বলেন, ‘রমজান এবং ঈদের কেনাকাটার জন্য পৌরশহর চিরিঙ্গায় আগতদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে এবং যান ও জনজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ব্যস্ততম মহাসড়ক এবং আশপাশের বিভিন্ন অলিগলির ফুটপাত দখল করে বসানো অন্তত তিন শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। এখন থেকে যদি আবারো ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকান বসানো হয় তাহলে ফের অভিযান চালানো হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও অভিযানের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলরত যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ডও সরিয়ে নেওয়া হয় জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন