হলদিয়াপালংয়ে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ সমাবেশ

Exif_JPEG_420

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের নীল নকশায় ভয়াবহ ভোট জালিয়াতি ও ব্যালট ডাকাতির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয় ঘোষণা করার প্রতিবাদে রোববার মরিচ্যা বাজার ষ্টেশনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম শামশুল হক বাবুলের নিশ্চিত বিজয়কে ঘোষনা না দিয়ে আমলাযন্ত্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তির নির্দেশে প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় নজির বিহীন ভাবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আলমকে কারসাজির মাধ্যমে বিজয় ঘোষনা করায় বিক্ষুব্ধ জনগণ রাস্তায় নেমে এ প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন।

হলদিয়াপালং দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি দলিলুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সাংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এক বড় সরকারী বড় আমলার ভাইকে বিজয়ী করতে গভীর রাতে ব্যালট পেপারে প্রশাসন নিজের হাতে যে হারে প্রকাশ্য সিল মেরেছে এতে জাতি আজ বড় লজ্জিত।

জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপির প্রার্থী এসএম শামশুল হক বাবুলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পরও ন্যাক্কারজনক ভাবে প্রশাসন রাতের আধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে খুবই নগণ্য ভোট প্রাপ্ত প্রার্থী শাহ আলমকে বিজয়ী ঘোষনা চিরজীবন কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। তাই কলঙ্গ মুছতে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তিনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উখিয়া বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী।

এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম শামশুল হক বাবুল। তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম এনামূল হক, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি মনজুর আলম মনজুর, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের ইউনূছ, হেলাল উদ্দিন ও আমিন হোসেন।

প্রার্থী এসএম শামশুল হক বাবুল প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই হচ্ছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম। জগগণের ভোটে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যখন বিজয় মিছিল করছিলাম, তখন মন্ত্রী পরিষদ সচিবের নির্দেশে প্রশাসন অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ৪নং ওয়ার্ডের পাতাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা না করে ইউএনও’র বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে এডিসি (শিক্ষা)র নেতৃত্বে প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৩৬১ স্থলে  ১০৬৫ভোট দেখিয়ে গভীর রাতে শাহ আলমকে নাটকীয় ভাবে বিজয়ী ঘোষনা করেন। অথচ আমি এ কেন্দ্রে ধানের প্রতীকে ভোট পেয়েছি ৯৭৫।

শুধু তাই নয়, সচিবের ভাইকে বিজয় করার জন্য প্রশাসন নিজেই ৯নং ওয়ার্ডের রুমখাঁ পালং ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের নিকট থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যালেট কেড়ে নিয়ে নৌকায় প্রকাশ্য সিল মারে।  প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের কড়া সমালোচনা করে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ও অচেনা ভাই শাহ আলমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে প্রশাসন যে নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জগগণের রায়কে ছিনিয়ে নিয়েছেন। নজিরবিহীন এ ধরনের ভোট ডাকাতির মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমকে দায়ী করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন