চকরিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় ৪ যুবক গ্রেফতার
চকরিয়ায় ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পথে দেড় ঘণ্টার মধ্যে জনতার সহায়তায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণে জড়িত অভিযোগে কিশোর গ্যাং চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহরণের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টায় বদরখালী-মহেশখালী সড়কের চোয়ারফাঁড়ি স্টেশন থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। তবে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বদরখালী ইউনিয়নের গোয়াখালী পাড়ার মো. হোসেনের ছেলে নূর হোসেন (১৯), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাশেদ (১৮), মোহাম্মদ এমদাদুল হকের ছেলে মো. সাগর (১৮) ও আবুল হাশেমের ছেলে মো. মোশাররফ (১৯)।
অপহরণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলাম। ওইসময় বদরখালীর সাবেক চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফের বাড়ির একটু পুর্বে ফুলতলা নামক স্টেশন এলাকায় পৌছলে চার বখাটে যুবক হঠাৎ আমাকে ঘেরাও করে জোরপূর্বক নোয়া গাড়িতে তুলে অজানা কোন স্থানে নিয়ে যাচ্ছিল। ওইসময় গাড়ির ভেতরে অপহরণকারী বখাটেরা আমাকে শ্লীলতাহানি করে।
আক্রান্ত ছাত্রী বলেন, গাড়িটি চকরিয়া-বদরখালী সড়কের চোয়ারফাঁড়ি স্টেশনে পৌঁছলে লোকজন দেখে আমি ভেতর থেকে চিৎকার দিলে জনগণ গাড়িটির পেছনে ধাওয়া করে থামিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের সময় অপহরণে জড়িত চার বখাটে যুবককে পাকড়াও করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার বখাটে এবং ওই ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া ছাত্রী পুলিশের জিন্মায় রয়েছে। গ্রেফতার চারজনকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন।