জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার চেয়ারে শিশু পুষ্পিতা দাস

fec-image

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা কর্তৃক গার্লস টেকওভার -২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতীকী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা এনসিটিএফ’র সদস্য পুষ্পিতা দাস (১৬)। সে খাগড়াছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।

সোমবার (১০অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা শিশু একাডেমি কার্যালয়ের অফিসে গার্লস টেকওভার অনুষ্ঠানে সে এই প্রতিকী দায়িত্ব পালন করেন।

এ সময় ১ ঘণ্টার জন্য জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী পুষ্পিতা দাসকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তরকালে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন, আমি আজকে খুবই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। এক ঘণ্টা জন্য আমাদের শিশু আমার চেয়ারে বসছে এবং অফিসের যাবতীয় কাজ তিনি দেখভালো করাতে পেরে আমি খুবই গর্ববোধ করছি। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন দেশ এবং জাতিকে সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেবে।

এদিকে ১ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনকালে পুষ্পিতা দাস বলেন, একজন কন্যাশিশু হিসেবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতীকী শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা’র দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এই আয়োজনটি সকল কন্যাশিশুদের সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ভলান্টিয়ার (ছেলে) খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, জেলা ভলান্টিয়ার (মেয়ে) রামু ত্রিপুরা, জেলা এনসিটিএফ’র সভাপতি শচীন দাস, সহ-সভাপতি মিডিয়া ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল মাওয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতীম দে, জেলা চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য (মেয়ে) সহিলিকা ত্রিপুরা, শিশু গবেষক (মেয়ে) উম্মে হামিমা সোহা, শিশু গবেষক (ছেলে) আতিক উল্লাহ ফয়সালসহ এনসিটিএফ’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: ‘গার্লস টেকওভার’ ইয়েস-বাংলাদেশ, ইয়ূথ ফর চেঞ্জ, অপরাজেয় বাংলাদেশ এবং প্ল্যান ইন্টারনাশনাল এর একটি বৈশ্বিক কার্যক্রম। কন্যা
শিশুরা সমান সুযোগ এবং সমান অধিকার পেলে বদলে দিতে পারে তাদের নিজের জীবন, তাদের আশেপাশের সমাজ এবং সমাজের
মানুষদের-এমন বিশ্বাস থেকেই ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে ইয়েস-বাংলাদেশ, ইয়ূথ ফর চেঞ্জ, অপরাজেয়
বাংলাদেশ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে একজন কিশোরী, কন্যা শিশু অথবা যুব নারীকে নেতৃত্ব প্রদানকারীর ভূমিকা
পালন করতে সহায়তা করা হয় যাতে করে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণে সে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়। সমাজের নেতৃস্থানীয় যে জায়গাগুলোতে নারী বা মেয়েদেরকে খুব কম দেখা যায় কিংবা তাদের সাফল্যের কথা কম শোনা যায় সে জায়গাগুলোতে নিজেদের অবস্থান, নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত ও সাফল্য যাতে মেয়েরা তুলে ধরতে পারে সেই আত্মবিশ্বাস তৈরীর সুযোগ করে দেয়াই ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন