টেকনাফে ডাকাত পুতিয়া গ্রুপের দুই সদস্য অস্ত্রসহ আটক

fec-image

টেকনাফে কুখ্যাত পুতিয়া ডাকাত গ্রুপের দুইজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৫ এর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি অস্ত্র ও ১৮ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

ধৃতরা হচ্ছে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ইদ্রিসের পুত্র মো. রমিজ (২৭) ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক- ই এর মৃত জহিরের পুত্র মো. শফিক (৩০)। ২ মার্চ বুধবার ভোর রাতে তাদের আটক করা হয়।

জানা যায়, টেকনাফের হ্নীলায় মুচনী গ্রামে ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সর্বত্রই আতঙ্কের নাম ‘পুতিয়া ডাকাত গ্রুপ’। এই গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। তাদের ধরতে র‌্যাব ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে আসছিল।

বুধবার ভোর রাতে র‌্যাব-১৫ টেকনাফের লেদা বাজারের নিকটে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীত পাশে কিছু লোকের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা যায়। এই গোপন সংবাদে র‌্যাব-১৫ রাত্রিকালীন একটি টহলদল ওই এলাকাটি ঘেরাও করার চেষ্টা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ডাকাতদল পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে ওই স্থান হতে দুইজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তারা হচ্ছে, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ইদ্রিসের পুত্র মো. রমিজ (২৭) ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-ই এর মৃত জহিরের পুত্র মো. শফিক (৩০)। তাদেরকে উপস্থিতিদের সম্মুখে দেহ ও হেফাজতে থাকা বস্তায় তল্লাশী করে ৬টি একনলা বন্দুক, ১টি থ্রিকোয়ার্টার গান, ১টি ওয়ানশুটার গান, ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি ছোরা, ১টি লোহার শিকল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একই রংয়ের ৫টি শার্ট ও ২টি নেমপ্লেট উদ্ধার করা হয়।

ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পুতিয়া ডাকাত গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এই চক্রের অন্যতম সহযোগী খায়রুল আমিনকে বিপুল পরিমান অস্ত্র-গোলাবারুদসহ র‌্যাব-১৫ আটক করে। তখন থেকে তারা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে তাদের নিকট রক্ষিত অস্ত্রগুলো গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখার জন্য ওই স্থানে আসে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ডাকাত গ্রুপের মূলহোতা পুতিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন