টেকনাফে নাফ নদীতে মিয়ানমারের বিজিপির গুলিতে এক জেলে নিহত
টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ ক্রয় করতে গিয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’র গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৬টার দিকে নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, টেকনাফস্থ হ্নীলা হোয়াইব্রাং বেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা ছৈয়দ উল্লাহর পুত্র কালা মিয়া (৪০) প্রতিদিনের ন্যায় নাফনদীর বিহীঙ্গি জালে মাছ ক্রয় করতে বের হয়। ঝিমংখালী বিওপি আওতাভূক্ত ৫নং সুইচ গেইট সংলগ্ন নাফনদী হতে মাছ ক্রয় করে ফেরার সময় মিয়ানমার বর্ডারগার্ড পুলিশ জেলে কালা মিয়াকে খাওয়ার মাছ নেওয়ার জন্য ডাক দেয়। তা অগ্রাহ্য করে ফিরে আসতে চাইলে বেড়িবাঁধে টহলরত বিজিপি কালা মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। তখন সে নদীতে পড়ে যায়। এরপর বিজিপি টহল দল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওপারে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির ভাইয়েরা তা দেখে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
পরে তার শ্বশুর নুরুল আলম খবর পেয়ে মেয়ে জামাইর লাশ উদ্ধার করে কিনারায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিজিবি টহল বাংলাদেশ কিনারায় লাশ পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে হ্নীলা বিওপির কোম্পানী কমান্ডার নায়েক সুবেদার মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা জেলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য নিহত রোহিঙ্গা জেলে কালা মিয়া কাচারী বিলের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবত দেশান্তরী হয়ে হ্নীলা হোয়াব্রাং সংলগ্ন বেড়িবাঁধের নুরুল আলমের মেয়েকে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিল। সে মৃত্যুকালে ২ স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ৩ সন্তান রেখে যায়। তবে বিজিপির গুলিবর্ষণে রোহিঙ্গা জেলে খুনের ঘটনায় নাফনদী নির্ভর স্বদেশীয় জেলেদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।