টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকা দমনে স্প্রে

fec-image

টেকনাফে পঙ্গপাল হানা দিয়েছে বাড়ির আম গাছসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছে। ভিটের আম গাছের অবস্থা দেখতে গিয়ে পঙ্গপাল সদৃশ শত শত পোকা দেখতে পান সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার জেলা কৃষি উপ-পরিচালক আবুল কাশেম ও টেকনাফ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পোকাটি শনাক্তকরণের জন্য সংগ্রহ করেছেন। ফের আবারো দেখা দিয়েছে পোকা।

পোকাটি দেখতে ফড়িং এর মতো। এটি উড়তে পারে না লাফিয়ে লাফিয়ে চলাচল করে। এভাবে শত শত পোকা আম গাছ, তেরশল গাছসহ অন্যান্য বেশ ক’টি গাছের পাতা নষ্ট করেছে। কোথাও কোথাও শাখা ছাড়া কোনো পাতা নেই। আবার কোথাও কোথাও পাতা ঝুলছে গেছে।

ভিটের জমিতেও শত শত পোকা। ওই ছাত্রলীগ নেতা উপায় না দেখে পোকার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে ঘটনাটি। গত ২০ এপ্রিল হতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।

পোকার আক্রমণ কমে গেলেও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি বিভাগের লোকজন এসে নতুনভাবে কীটনাশক স্প্রে করে চলে যায়। শুক্রবার এর ফলোআপ করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা। এই পোকার আক্রমণে ভিটের বেশ ক’টি গাছের কাঁচা পাতা নষ্ট হয় যায়। দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মতো শত শত পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও শাখায় বসে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বাড়ির মালিক।

এদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন, এটি পঙ্গপাল না হলেও ক্ষতিকর পোকা। এটি দমন করার জন্য শুরু থেকে কীটনাশক স্প্রে করতে প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে আসছিল কৃষি বিভাগ।

তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান লতাপাতা, আগাছা থেকে শুরু করে শুকনো পাতা, কাঁচা পাতা ও গাছের শাখা-প্রশাখায় সারি সারি পোকা। কোথাও গাছের শাখা আছে পাতা নেই। আবার কোথাও পাতা ঝলসে গেছে। কোথাও পাতায় পোকায় খাওয়ার মতো ছিদ্রযুক্ত। একটি গাছের নিচে রয়েছে কিছু ছাই যা কিনা আগুন জ্বালিয়ে পোকা দমনের চেষ্টা করেছে পরিবারটি।

বাড়ির মালিক ও ছাত্রনেতা সোহেল সিকদার বলেন, ‘গাছের নিচে ঝোপঝাঁড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পোকার আক্রমণ হতে রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম প্রথম দিকে। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করে পোকা দমনের চেষ্টা করা হয়। প্রায় দমনই হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফের পোকা দেখা যায়।’

সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, ‘পঙ্গপালের মতো অনেকটা এই পোকা। কাঁচা পাতা খেয়ে ফেলছে তাই এটি ক্ষতিকর পোকা। এসব পোকা যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কীটনাশক স্প্রে করা হয়। এরপর অনেকটা পোকা দমন হয়ে যায়। কিন্তু আবার পোকা দেখা যাওয়ায় নতুন করে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।

শুক্রবার(১ মে) এ বিষয়ে ফলোআপ করা হবে।’ এছাড়া কক্সবাজার জেলা পর্যায় হতে কীটতত্ত্ববিদ এসে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ, পঙ্গপাল, ফড়িং
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন