ত্রিদেশীয় সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত নিরসন ও উন্নয়ন ভাবনা

fec-image

বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারত সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই অঞ্চলের সংঘাত যেন বেড়েই চলছে। এর শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমনের মধ্যে দিয়ে। প্রায় রোহিঙ্গা শূন্য রাখাইনে এরপর কিছুদিন শান্তি বিরাজ করলেও এক বছরের মধ্যেই আরকান আর্মির (এএ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ও প্রতিবেশী দুদেশের মধ্যে অনভিপ্রেত ঘটনার সৃষ্টি হয়। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত মাঝে মাঝেই সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে হুমকি সৃষ্টি করছে, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার অন্তরায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে প্রায় তিন বছর ধরে মিয়ানমারে সশস্ত্র বিপ্লব চলমান, মিয়ানমারের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে চলছে। চলমান পরিস্থিতি যাচাই করতে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সারা দেশে চলমান শাসন সম্পর্কে জনমত জরিপ করার জন্য প্রেরণ করেছে বলে জানায়। সামরিক শাসনের বিরোধীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসাবে চলমান গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং প্রাণঘাতী বিমান হামলার পর এই জনমত জরিপটির বিষয় আলোচনায় আসে। মিন অং হ্লাইং এসএসির জাতিগত সদস্যদের কাচিন, কায়াহ, চিন, মোন, রাখাইন এবং শান রাজ্য এবং জাতিগত অঞ্চলে পাঠায়। তারা স্থানীয় ধর্মীয় নেতা, ব্যবসায়ী মালিক, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং সম্প্রদায়ের প্রবীণদের চলমান শাসনের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায়।

২৮ সেপ্টেম্বর স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের এক বৈঠকে জান্তা প্রধান ১৫ অক্টোবর দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তির অষ্টম বার্ষিকীতে বিদেশি সরকার প্রধানদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেন। সেই অনুষ্ঠানে কিছু দেশের সরকার প্রধান এবং কিছু দেশ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা যায়। থেইন সেইনের শাসন আমলে আটটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন দেশব্যাপী এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষর করেছিল। ক্ষমতাচ্যুত ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকারের সময় আরও দুটি দল এতে যোগ দিয়েছিল। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন, চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং অল বার্মা স্টুডেন্টস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নামের তিনটি প্রধান স্বাক্ষরকারী কারেন, মন ও চিন রাজ্যের পাশাপাশি বাগো অঞ্চল ও মধ্য মিয়ানমারের জনগণ জান্তার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগত সংগঠন কেএনইউ এনসিএকে অকার্যকর ঘোষণা করে। উল্লেখ্য যে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে জর্জরিত।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সেপ্টেম্বর মাসে কাচিন এবং উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে তাদের আক্রমণ জোরদার করে। দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের মুখোমুখি হওয়ার প্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনী তাদের প্রতিরক্ষামূলক কৌশলে কিছু পরিবর্তন আনে। এই সংঘর্ষের ফলে উভয় রাজ্যেই প্রচুর সৈন্য ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। গত তিন মাস ধরে সেনাবাহিনী দেশটির অন্যতম শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে । অনেক বিশ্লেষকের মতে, সাগাইং ও মাগওয়ে অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কেআইএকে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র প্রতিরোধে সহায়তা করা থেকে বিরত রাখার জন্য সরকারি বাহিনী তাদের উপর এই হামলা চালায়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে কেআইএ সরকারবিরোধী কয়েক হাজার তরুণ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) কে ম্যাগওয়ে এবং সাগাইং অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করেছে।

চীন সীমান্তবর্তী টিএনএলএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে জান্তা সৈন্যদের সাথে সামরিকপন্থী মিলিশিয়া গ্রুপ মোতায়েন করেছিল। উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জান্তার পাল্টা হামলার কারণে রাজ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। এসব হামলায় বিমানবাহিনীও অংশ নিয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসে সরকারিবাহিনী ও টিএনএলএ’র মধ্যে ৪২টি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সামরিক সরকার ড্রোন হামলা এবং শহুরে অভিযান সহ প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবং ইএও গুলির নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব ঘটনা সারাদেশে শাসকগোষ্ঠীকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। টিএনএলএ উত্তর শান রাজ্যের মুসে এবং কুটকাই টাউনশিপ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় চীনের সাথে প্রধান বাণিজ্য পথ মান্দালয়-মিউজ হাইওয়ের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কেবল মাত্র রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি এবং জান্তা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিধায় সেখানে আক্রমণ বন্ধ আছে।

জুলাইয়ের শুরুতে কাচিন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরও ১০টি ব্যাটালিয়ন পাঠানোর পরপরই সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। কেআইএ, কাচিন রাজ্যের রাজধানী মাইটকিনা থেকে ওয়াইংমাও এবং ভামো ও মায়োথিট পর্যন্ত দুই দিকে অগ্রসর হওয়া জান্তা সৈন্য ও সামরিক বহরের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব আক্রমণের ফলে বেসামরিক নাগরিকরা মাইটকিনা-ভামো হাইওয়ে ব্যবহার করতে পারছে না। সরকারি সৈন্যরা কেআইএর সদর দফতর লক্ষ্য করে আক্রমণ পরিচালনা করতে গিয়ে রাজ্যের অন্যান্য অংশ থেকে সৈন্যে সমাবেশ ঘটায়, এর ফলে অন্য এলাকাগুলোতে সৈন্য ঘাটতি দেখা দেয়। কেআইএ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেনাদের উপস্থিতি না থাকা এলাকাগুলো দখল করে নেয়। সেপ্টেম্বর মাসে কাচিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সংঘর্ষে হয়েছে। কেআইএ বেশ কয়েকটি জান্তা ফাঁড়ি দখল করার ফলে সরকারি সৈন্যদের ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমারে ৬০টিরও বেশি সামরিক শিবির হারিয়েছে বলে ২৬ সেপ্টেম্বর কারেন পিস সাপোর্ট নেটওয়ার্ক (কেপিএসএন) কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ৮ সেপ্টেম্বরে তাদের হিউম্যানিটারিয়ান আপডেটে জানিয়েছে যে, অভ্যুত্থানের পর থেকে পূর্ব বাগো ও তানিনথারি অঞ্চল এবং কারেন ও মন রাজ্যে মোট ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি নামের একটি সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে মিয়ানমারকে বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ গবেষণায় বলা হয় যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে মিয়ানমারে। কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপরে নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দেশ ছাড়া করার পর এখনো সেখানে আঞ্চলিক সন্ত্রাস, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্যাতনের ঘটনা এবং রাজনৈতিক হানাহানি চলছে।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আগামী বছরের অক্টোবরে দেশব্যাপী আদমশুমারি এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেয়ার পর মিয়ানমারের অভিবাসন মন্ত্রী মিন্ট কিয়াং বেইজিং সফর করে আসন্ন আদমশুমারি পরিচালনা এবং মিয়ানমারে একটি ইলেকট্রনিক – আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম চালু করতে সহায়তা চায়। এর আগের আদমশুমারি পলিচালনায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এবং বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ মিয়ানমারকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। বর্তমান সামরিক সরকার এই কাজে সাহায্যের জন্য বেইজিংয়ের সহায়তা চাইছে। মিয়ানমার সরকার ২০২৪ সালের অক্টোবরে জাতীয় আদমশুমারি করবে এবং এর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায়, তাই অনেক বিশ্লেষকের মতে মিয়ানমারের প্রস্তাবিত নির্বাচন ২০২৫ সালের আগে হওয়ার সম্ভাবনা কম।

মিয়ানমারের আরেক প্রতিবেশী দেশ ভারতের মণিপুরেও অশান্তি বিরাজ করছে। গত মে মাসে মণিপুরের জাতিগত সংঘাতের পর থেকে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান ও যুদ্ধের সরঞ্জামাদির প্রবাহ বেড়েছে বলে জানা যায়। ভারতের দাঙ্গাপীড়িত মণিপুরের সঙ্গে মিয়ানমারের ৯৫ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সঙ্গে মিয়ানমারের ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, এই অঞ্চলের কিছুটা বাংলাদেশেরও সীমান্ত ঘেঁষা। মিয়ানমার থেকে ভারতের মিজোরামে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে সেখানকার গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ভারত কর্তৃক পরিচালিত চোরাচালান বিরোধী অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রতিবেশী দেশের সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব এবং সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে আসা মানুষেরা আন্তঃসীমান্ত নেটওয়ার্ক এবং চোরাচালান সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা জরুরি। চিন রাজ্যের পালেতোয়া টাউনশিপে মিয়ানমার বাহিনী ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে সংঘর্ষের কারণে শত শত মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গেছে। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিবেশী মণিপুরের চলমান জাতিগত সংঘাতে মিয়ানমারের নাগরিকদের সহায়তার সম্ভাবনা একেবারে অস্বীকার করাও যাবে না। এক কথায় পুরো এই অঞ্চলজুড়ে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির বদলে সংঘাত ও অশান্তি বিরাজ করছে।

এত কিছুর মাঝেও কিছু কিছু আশার আলো দেখা যায়, প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর এই বছর শান রাজ্যে মিয়ানমারের বিখ্যাত হট এয়ার বেলুন উৎসব পুনরায় শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা। আগামী ২১-২৭ নভেম্বর শান রাজ্যের রাজধানী তাউংগির আওয়ায়ার হট এয়ার বেলুন স্কোয়ারে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করবে, ফলে স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে দ্রুত যাতায়াত ও পরিবহনের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে যা এই অঞ্চলে বাণিজ্য প্রসারিত করে সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। ভূ-কৌশলগত গুরুত্ববহ এবং প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ামারের এই অঞ্চলে পাহাড়, বনাঞ্চল, সমতল, নদী ও সাগর রয়েছে, যা একত্রে একটা মনোরম পর্যটন অঞ্চল হতে পারে। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ দেশগুলোর উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে। একই সাথে এই অঞ্চলে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ এক অভাবনীয় উন্নয়নের সুচনা করতে পারে, যা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে। একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে জাতিগত সহিংসতা ছেড়ে আমরা কি সহমর্মিতা ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে পারি না?

লেখক: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন