দাম চড়া হলেও ক্রেতা বেশি, শেষ মূহুর্তে জমে ওঠেছে নাইক্ষ্যংছড়ির পশুর হাট

img_4638-copy

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার হাট বাজারগুলোতে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। দেশীয়ভাবে উৎপাদন ও দেশীয় গরুর চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে গরু আমদানী বন্ধ থাকায় কোরবানি পশুর দাম এবার কিছুটা অনেক বেশি। ক্রেতারা নাখোশ হলেও বিক্রেতাদের মন মেজাজ এখন ফুরফুরে। কারণ দেশীয় গরুর চাহিদা খুব বেশি।

কোরবানি দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমান নরনারী নিজেকে আত্মশুদ্ধি করার চিন্তা করলেও কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকেই কোরবানি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণে হাট বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ গরু এখনো মওজুদ রয়েছে।

উপজেলার আলীক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা খামারী সাহাব উদ্দিন বলেন, গরু পালতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আয়-ব্যয় পোষানো দূরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাজারে প্রচুর পরিমাণ ক্রেতা থাকলেও দাম চড়া হওয়ায় গরু বিক্রি হচ্ছে না তেমন। বর্তমান বাজারে পশুর খাদ্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন একটি গরু পিছনে অনেক টাকা খরচ পড়ে যায় বলে জানায় খামারীরা।

আরেকজন গরু খামারী বাইশারী ইউনিয়ের বাসিন্দা নুরুল আমিন কালু বলেন, তিনি তার খামার থেকে প্রতিবছর কোরবানি হাটে গরু বিক্রয় করে অনেক টাকা আয় করে থাকেন। কিন্তু এ বছর গরুর দাম বৃদ্ধি হলেও গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তেমন কোন লাভ হয়নি এবার।

শনিবার এই প্রতিবেদক সরেজমিনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজার ঘুরলে দেখা যায়, ক্রেতা সংখ্যা প্রচুর এবং কোরবানি পশু রয়েছে বাজার গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ। কিন্তু বিক্রয় হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। বাজার ইজারাদার মো. হোছন বলেন, এ বছর দাম বৃদ্ধির কারণে বেচা-বিক্রি অনেক কম হওয়ায় তাদেরও বাজার ইজারা নিয়ে পোষানো মুশকিল হবে বলে জানালেন।

এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পশুর বাজার দাম চড়া হওয়ায় অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তবে তারা আরো দু’য়েকদিন অপেক্ষা করছেন দাম কমে যাওয়ার আশায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন