দুর্যোগে ১৪ দিন আলোকিত হলো থানচিবাসী

fec-image

বিদ্যুৎ বিভাগের রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১৪ দিনের মাথায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে থানচিবাসী।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থানচিবাসী বিদ্যুৎ পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও থানচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো।

চলতি মাসের প্রথম দিকে সপ্তাহব্যাপী ভারী বর্ষণে বান্দরবানে স্মরণকালের বন্যা ও পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে, বিদ্যুৎতের খুঁটি উপড়ে পড়ে থানচির সাথে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থানচিবাসীর জীবন যাত্রায় বিরুপ প্রভাব ফেলে। জেলা শহরে প্রায় সব অফিস আদালত কোমর সমান, কোথাও বুক সমান পানি উঠে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বান্দরবান।

বন্যা পরবর্তী শুরু হয় পাহাড় ভাঙন। গত ৬ আগস্ট থেকে জেলার সাথে রুমা-থানচি উপজেলা সড়ক ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান থানচিবাসী ১৪দিন পর অন্দকার থেকে আলোকিত হলো আমাদের থানচি বাজারে বিদ্যুৎ পেয়েছে, সেজন্য বিদ্যুৎবিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

থানচি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো জানান, আজ ১৯ আগস্ট ১৪ দিন পর থানচিবাসী বিদ্যুৎপেয়েছে সেজন্য বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আধুনিক সভ্যতার যুগে বিদ্যুৎ থাকলে ৯০ শতাংশ সমস্যায় সমাধান হয়ে যায়। থানচি এলাকায় আবারো মানুষের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে, জনজীবন স্বাভাবিক হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম জানান, বান্দরবানের চলতিমাসের প্রথম দিকে অতিবর্ষণে সড়কে পাহাড় ধসে বিদ্যুৎতের খুঁটি উপড়ে পড়ে থানচি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১৪ দিন পর বান্দরবান-থানচি বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হলো। আগামী কয়েকদিনের মধ্য বান্দরবান-রুমা বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন