নাইক্ষ্যংছড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক পুলিশ সদস্য ও হাসপাতালের এক মহিলা বাবুচির আকস্মিক মৃত্যু

pic.-01 pic.03

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সোনাইছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্য হাসানুর রহমান (৩২) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে । এছাড়া বিকাল ৩ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের বাবুচি বিনা বালী মালীনী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে ।

জানা যায়, গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অর্ন্তরগত সোনাইছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কনষ্টেবল হাসানুর রহমান চাকুরীর প্রাপ্য বেতন গ্রহণের জন্য কর্মস্থল সোনাইছড়ি থেকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে গমনকালে নাইক্ষ্যংছড়ির কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদের সামনে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলে । পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ সদস্য হাসানকে রিক্সা যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় নিয়ে যায় ।

থানায় পৌছাঁ মাত্র থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম তড়িগড়ি করে হাসানকে হাসপাতালে প্রেরণ করে । হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জন চৌধুরী দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে পুলিশ কনষ্টেবল হাসানুর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন ।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জন চৌধুরী বলেন- পুলিশ কনষ্টেবল হাসানুর রহমান (৩২) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে । তার শরীরে আর কোন রোগ ব্যধি ছিল না । এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন -পুলিশ কনষ্টেবল হাসানুর রহমান সাহসী ও নির্ভিক পুলিশ সদস্য ছিল । তার মৃত্যুতে আমরা এক কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি । সন্ধ্যা ৬ টায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে হাসানুর রহমানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান ।

আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর সকালে বান্দরবান পুলিশ লাইলে হাসানুর রহমানের প্রথম যানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায় । এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১৪২ নং (০৪।০৯।২০১৪ইং) সাধারন ডাইরী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত পুলিশ কনষ্টেবল হাসানুর রহমানের নিজ বাড়ী দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার রাজাররামপুর গ্রামে । তার পিতা মেকরাইল হক । পুলিশ কনেষ্টবল নং ১২৬৫ মৃত হাসানুর রহমান এক কন্যা সন্তানের জনক । পুলিশ সদস্য হিসাবে হাসানুর রহমান পুলিশ বাহিনীতে দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর যাবত কর্মরত ।

এদিকে বিকাল ৩ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের কুক মশালচি (বাবুচি) বিনা বালা মালিনী দুপুর এর রান্না শেষ করে নিজে খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজ রুম থেকে হাসপাতালের দিকে রওনাকালে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় । এর পর হাসপাতালের জররী বিভাগের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জন চৌধুরী দীর্ঘ পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে বিনা বালা মালীনীকে মৃত ঘোষনা করেন ।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জন চৌধুরী বলেন- বিনা বালা মালীনী শান্ত প্রকৃতির মহিলা ছিল । দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি কুক মশালচি (বাবুচি) পদে কর্মরত । পারিবারিক জীবনে ১ পুত্র সন্তানের জননী । তার এক মাত্র সন্তান উজ্জল এক দিন আগে লেখা পড়ার উদ্দেশ্যে চট্রগ্রাম শহরে রওনা দেন বলে জানান তার সহকর্মীগণ ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন