নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৪৯ রানের বড় হার আফগানিস্তানের

fec-image

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাক লাকিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে এই সাফল্যযাত্রা বড় হলো না তাদের।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিংধসে গুটিয়ে যায় ১৩৯ রানে। ফলে ১৪৯ রানের বড় হারের স্বাদ পেতে হলো হাশমতউল্লাহ শহিদির দলকে।

পিচ রিপোর্টের সময়ই জানা গেছিল, চেন্নাইয়ের চিরাচরিত স্পিন উইকেট নয় বরং আগফানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের খেলা হবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। তারই ফায়দা তুলে স্কোর বোর্ডে বড় সংগ্রহ জমা করেন কিউই ব্যাটাররা। তবে আফগান ব্যাটাররা রান তাড়ায় একেবারে সুবিধা করতে পারেননি। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ফেরেন দলীয় ২৭ রানে।

চতুর্থ উইকেটে রহমত শাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৫৪ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ৯৭ রানে জুটি ভাঙার পর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের তোপে শেষ ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪ ওভার ৪ বলে অলআউট হয় আফগানিস্তান। লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন।

এর আগে চেন্নাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুট ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে ইনিংসের ২১তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের জোড়া শিকারে ফেরেন দুজন। রাচিন ৩২ ও উইল করেন ৫৪ রান।

নতুন ব্যাটার ড্যারিল মিচেলকে থিতু হওয়ার আগে ফেরান রশিদ খান। তাতে অবশ্য বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। নতুন জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। পঞ্চম উইকেটে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন দুজন।

অর্ধশতক করে দুজনই হাঁটছিলেন শতকের দিকে। তবে ইনিংসের ৪৮তম ওভারে নাভিন উল হকের জোড়া আঘাতে ফেরেন তাঁরা। ফিলিপস ৮০ বলে ৭১ ও ল্যাথাম ৭৪ বলে ৬৮ রান করেন। শেষদিকে মার্ক চাপম্যানের ১২ বলে ২৫ ও মিচেল স্যান্টনারের ৫ বলে ৭ রানে ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন