পানছড়িতে নেচে-গেয়ে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পাতা বাহা পালন
পানছড়ি প্রতিনিধি ॥
জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবারের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ (পাতা বাহা)’র আয়োজন ছিল জাঁকজমকের। মঙ্গলবার সকাল আট টা থেকে পানছড়ি সাঁওতালপাড়া লোকনাথ মন্দির এলাকায় এই জনগোষ্ঠীর পাতা বাহা (নববর্ষ) অনুষ্ঠান ছিল এক উপভোগ্য ও ব্যতিক্রমী আয়োজন। বৈশাখী দেবতা পূজা (পাতা ভুঙ্গা) দিয়েই শুরু হয় অনুষ্ঠানের সূচনা পর্ব।
জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝে তিনি আসতে না পারায় জেলা প্রশাসক পত্নী নিলুফা সুলতানা করিম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পত্নী রিফাত আরা ইয়াছমিন উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাঁওতাল পাড়া এলাকা থেকে প্রায় এক কিলো: পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে চেংগী নদীতে বৈশাখী দেবতা পূজা উপভোগ করেন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্নীদ্বয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলাম।
বৈশাখের কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলামের উপস্থিতি দর্শককুল একজন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্বের উপাধি দিতে ভুল করেননি। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই সাঁওতাল জনগোষ্ঠী ঘর সাজনো (বাহা রেবেতা) ঐতিহ্যবাহী খেলা কান্ডাখিলা, আ-উপড়ি ও নৃত্য দং, লাকড়ে, ছুরহাই ইত্যাদির আয়োজন করেন। তাছাড়া ময়নামতি সাঁওতাল ও মালতী সাঁওতালের গানে গানে বিমল, বাবুল, সুজন, ঝিসু, খোকন ও হোপনা সাঁওতালের নৃত্য পুরো অনুষ্ঠানকে উপভোগ্য করে তোলেন। অতিথিরাও হাতে তালি দিয়ে তাদের উৎসাহ প্রদান করেন।
এ সময় সাঁওতালপাড়া লোকনাথ মন্দির এলাকায় উপচে পড়া দর্শনার্থীর ভীড় জমে। চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাবুল হোসেন ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাজির মাহামুদ ও ইউপি সদস্য আবদুল জব্বারও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।