পানছড়িতে মৌজা প্রধানের অপসারণ ‍দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি :

২৪৬ নং ছোট পানছড়ি মৌজা প্রধান ধনচন্দ্র রোয়াজার অসুস্থজনিত কারণে উত্তরাধিকার সূত্রে  দায়িত্ব ভার গ্রহণ করে ছেলে জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজা।

ধনচন্দ্র রোয়াজা মৌজা প্রধান থাকাকালীন সময়ে সকল সম্প্রদায়ের সাথে ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। ছিলনা কোন অভিযোগ। কিন্তু তার ছেলে এপদে আসীন হওয়ার পর থেকেই মৌজাবাসীর মাঝে দেখা দেয় চরম ক্ষোভ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষোভের বিষ্ফোরণ।

তার অপসারণ চেয়ে উপজেলার জিয়ানগর এলাকার সচেতন নাগরিক রমজান আলী, গন্যমাণ্য ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ভূমি প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে তুলেছে আলোচনার ঝড়। তাদের দাবি জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজা বাঙ্গালী ভূমি মালিকদের নানাভাবে হয়রানীসহ অপমান অপদস্তের পাশাপাশি দীর্ঘদিন জমি কেনাবেচা, খাজনা নেয়াসহ নানাবিধ কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে।

ফলে প্রজারা ব্যাংক ঋণ সুবিধা, জোত পারমিট, জমি বেচাকেনাসহ কিছুই করতে পারছেনা।তাছাড়া মৌজার কার্যক্রম পরিচালনা করার মত তার নুন্যতম অভিজ্ঞতা নাই বলেও উল্লেখ করা হয়।

নিজ এলাকা ছেড়ে খাগড়াছড়িতে বসবাসের ফলে প্রজারা কোন কাজে গেলে অপমান-অপদস্তের কথাও তুলে ধরা হয়। এব্যাপারে রমজান আলী স্বাক্ষরিত একখানা অভিযোগের শুনানী ৪ জুলাই, ১৭ইং সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যারয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত উল্টাছড়ি ইউপির সমাজ সেবক মো. আবু তাহের বলেন, সরকার আমাদের এখানে এনেছে। আমাদের বৈধ কাগজ পত্রাদি থাকা সত্বেও আমাদের এত হয়রানী করা হচ্ছে কেন।বর্তমান মৌজা প্রধান জগদীশ রোয়াজাকে অপসারণ পূর্বক একজন দক্ষ স্থলাভিশিক্ত লোক আমরা চাই।

আওয়ামী লীগ নেতা জীবন রায় জানান, অন্যান্য মৌজায় সব ঠিক আছে। তার বাবা ধনচন্দ্র রোয়াজার আমলেও সব ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে জোত পারমিট সংক্রান্ত কোন প্রত্যয়ন পত্রও কেউ পাচ্ছে না।

মৌজা প্রধান জগদীশ রোয়াজা জানায়, আমার যে দায়িত্ব তা আমি সঠিক ভাবে পালন করছি। বিধি বহির্ভূত কোন কাজ হলে তা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগীর দাবি, সে এলাকায় থাকে না, হয়রানি ছাড়া কিছুই সে বুঝেনা, তার দায়িত্বভার গ্রহণের পর কোন নামজারি হয় নাই, কোন প্রতিবেদন দেয় নাই, নামজারী প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করে নাই মোট কথা বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের কোন প্রজা দেখা মাত্রই সে কাগজ-পত্রাদিকে কলাপাতা উল্লেখ করে ধমক দিয়ে বিদায় করে।

সবার দাবী এপদে পরিবর্তন চাই। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানায়, রমজান আলী স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রের শুনানীতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপরে লেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন