পানছড়ির রসালো তরমুজে কালবৈশাখির ছোবল
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি ॥
নববর্ষের আগমনী বার্তা লগ্নে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কের দু’পাশ শোভা পেত সারি সারি তরমুজ। আর এই রসালো তরমুজের স্তুুপ দেখলে দুর থেকে মনে হতো সবুজের এক মিনি পাহাড়। তাছাড়া তরমুজের টকটকে সাজানো লাল টুকরো দেখলে জিবে পানি এসে যেত আর মন চাইতো দুপুরের কাঠ ফাটা রোদের মাঝে এক টুকরো খেয়ে তৃষ্ণা মিটাই। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় তরমুজের গ্রাহকদের ডাকাডাকির মনমতানো সুরেও রাস্তা থাকত সরগরম। কিন্তু এবারের দৃশ্য একটু ভিন্ন।
গত কয়েকদিনের শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখির ছোবলে তরমুজ চাষীরা হতাশ। পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বৈ-সা-বী তে গরবা (মেহমান)দের আথিতিয়তার প্রধান উপকরণ তরমুজ। তাই এই সময়ে বাজার ভরে যেত লক্ষাধিক তরমুজে। কিন্তু এবারের বাজার অনেকটা ফাঁকা। তরমুজের স্তুুপে বসে থাকা কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, তাইন্দং ও তবলছড়ি এলাকা থেকে তরমুজ এনে তারা হাট বসিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কালবৈশাখির আগে তরমুজের দাম বেশ ভালো ছিল। কিন্তু শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখির তান্ডবে সব লন্ড-ভন্ড। গতবারের মত এবার বাম্পার যাবেনা বলে জানান। পানছড়ির স্থানীয় তরমুজ চাষীরা এ প্রতিবেদককে জানান, চলতি বছরে পানছড়ির বিভিন্ন এলাকার জমিতে তরমুজের চাষ হলেও ফলন তেমন ভালো হয়নি। তারা জানান, তরমুজ সাইজেও তেমন বড় হয় নাই আর আগাম বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে বেশী ক্ষতি করেছে। তাই পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাজারজাতে বাধ্য হয়েছে চাষারী।