পানছড়ি বাজারে আজব কলার মোচা

Kola

পানছড়ি সংবাদদাতা :

পানছড়ি উপজেলা সদর বাজারের প্রধান সড়কের এক কোনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। এক’পা’ দু’পা করে সামনে এগিয়ে ভীড়ের ফাঁকে উঁকি মেরে দেখতে পাই এক আজব কলার মোচা। একটি গাছের একটি ছড়া থেকেই বেরিয়েছে পাঁচটি মোচা। যা দেখে দর্শনার্থীরাও হতবাক।

এর আগে কয়েকবার এ ধরনের দৃশ্য দেখা গেলেও সীমাবদ্ধতা ছিল তিনটির মাঝে। কিন্তু এবার পাঁচটি হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ বাড়িয়ে আজব জিনিস এক নজর দেখে নিচ্ছে। আর কেউ কেউ করছে মোবাইলে ক্যামরা বন্দী। কথা হয় মোচার মালিক তংরাই ত্রিপুরার সাথে। উপজেলার সুবলচন্দ্র কার্বারী পাড়ার জীবন জ্যোতি চাকমার ছেলে তংরাই ত্রিপুরা। বাংলা বলতে তেমন পারে না তংরাই।

এটা কি জিজ্ঞেস করলে সে ত্রিপুরা ভাষায় জানায় (মিখমু বেঠাই) কলার মোচা। শুক্রমনি ও কালোমনি ত্রিপুরার সহযোগিতায় বুঝতে পারি এটা বিচি কলার মোচা। তার ঘরের পাশের গাছ থেকে কেটে আনা। ঔষধি মনে করে বেশী দামে বিক্রি করতে পারবে বলে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে পানছড়ি বাজারে এসেছে বলে জানায়। অনেকেই জানালেন ঔষধি হিসাবে একাধিক কলার মোচা ভালো কাজ করে। তবে কি কি রোগের কাজ করে তার সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মতিউর রহমান জানান, কলার মোচা খাদ্য হিসাবে পুষ্টিকর। ঔষধি হিসাবে ডাক্তারী শাস্ত্রে এ ব্যাপারে কিছু লেখা নাই। এ ব্যাপারে পানছড়ি উপজেলা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন পিকে জানান, এটা এক ধরনের ফিজিক্যাল অ্যাবনরমালিটি। তাই কলাগাছ থেকে এ ধরনের মোচা হওয়া স্বাভাবিক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন