পানছড়ি বাজারে দেড় কেজি: ওজনের আম
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সদর বাজারের প্রধান সড়কে শোভা পেয়েছে দেড় কেজি ওজনের আম। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বিশালাকার সাইজের আমগুলো এক নজর দেখতে জমে উঠে উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতাদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে দিশাহারা আমের মালিক একটু পর পরই স্থান পরিবর্তন করার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটিও উৎসুক জনতাকে দিয়েছে ক্ষণিকের আনন্দ।
এক ভদ্রলোক আঞ্চলিক ভাষায় বলে উঠল “ইতে আজিয়া পল অই যাইব”। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও উপচে পড়া ভীড় উপেক্ষা করে কথা হয় আমের মালিক উপজেলার দুধুকছড়ার হারুবিল এলাকার ইন্দ্রমনি চাকমার ছেলে প্রশান্ত চাকমার সাথে। সে জানায়, গত ৬ বছর আগে পানছড়ি বাজার থেকে কিছু আমের চারা ক্রয় করেছিল। কিন্তু একটি গাছে গত বছরও ৩০/৪০টি আম ধরেছিল যার ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি। এবার ৬০/৭০টি আম ধরেছে যার সাইজ গত বারের চেয়েও অনেক বড়। এর মাঝে ১০/১২টি আম ছিল দেড় কেজি: ওজনের। কোন জাতের আম সে নিজেও জানেনা বিধায় ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানায়।
কথা হয় ক্রেতা পানছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী তপন কান্তি বৈদ্য ও স্কুল শিক্ষক সুলতান মাহামুদ, সুভাষ দেব, রাজু দে ও বিশ্বময় চাকমার সাথে। তারা জানায় এত বড় সাইজের আম জীবনে এই প্রথম দেখা। আমের স্বাদ কেমন তারা জানেনা। তবে শখের বশীভূত হয়ে সবাই দু’একটি করে আম কিনেছে।
পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন শেখের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এটি হলো কুমড়া জালী জাতীয় আম। এগুলো এসব এলাকায় খুবই বিরল। তবে রাজশাহী ও রংপুর এলাকার হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে দেখা যায়। তাছাড়া ঐসব এলাকার সৌখিন চাষীদের কিছু কিছু বাগানে এসব আমের দেখা মেলে।
পানছড়িস্থ এসিআই স্যোলিয়েশন এডভাইজার ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদ জুয়েল চাকমা জানায়, এই ধরণের আম জীবনে প্রথম দেখেছেন। এতবড় আম গাছে কিভাবে ঝুলে থাকে সে দৃশ্য দেখার জন্য প্রত্যন্ত হারুবিল এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখেছি। আসলে জীবনে দেখা বিরল দৃশ্যর মাঝে এটাও একটি।