পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা,
উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা ধোপাছড়িতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকার সাধারণ মানুষের।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে ধোপাছড়ির শান্তির বাজার এলাকায় পাতা রঙের পোষাকধারী ১৩ জন উপজাতির একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের নিকট চাদাঁ দাবি করে। এসময় তারা তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করলে ব্যবসায়ীরা তা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসকল উপজাতি সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

যাওয়ার সময় তারা বলে যায় যে, পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে যাদের নিকট টাকা চাওয়া হবে, তারা যেন, তাদের বিকাশ নম্বরে সে টাকা পাটিয়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ কিছু এলাকার লোকজন এসকল উপজাতি পাহাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে সহযোগিতা করছে। না হলে তারা ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতে পারত না। ইতিমধ্যে কেউ কেউ তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাটিয়েছে বলেও জানা যায়।

সন্ত্রাসীরা এলাকায় মোটর সাইকেল চালকদের থেকে ১০ হাজার টাকা, লেবু, পেয়ারা ও বিভিন্ন বাগান মালিকদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করেছে বলে জানা যায়। গত ১৮ অক্টোবার সন্ধ্যা ৭টায় ধোপাছড়ির বাজারে এসকল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আসার কথা বলায় বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ধোপাছড়ি বাজার ছিল জনশূণ্য অবস্থায়। বর্তমানে ধোপাছড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে। যারা চাদাঁ দিতে পারেনি তারা তাদের মোবাইল বন্ধ করে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে বলে জানা যায়।

খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ডলুপাড়া ক্যাম্পের সেনা বাহিনীর লোকজন ধোপাছড়ি এলাকায় এসে সাধারণ মানুষকে সান্ত¦না দেন এবং তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ ফরিদ খন্দকার পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ধোপাছড়ি এলাকায় আসার কথা স্বীকার করে বলেছেন, এ সকল সন্ত্রাসীরা প্রতি বছরে আসে,তবে সাধারণ মানুষকে আতংকিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সে সাথে ডলুপাড়া ক্যাম্পের সেনা বাহিনীর লোকজন এসে এলাকাবাসীকে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ি আই.সি সোহেল কামাল বলেছেন, স্থানীয়রা পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা এসেছেন বলেছেন। তবে তাদেরকে কেউ দেখেনি। তারা শান্তির বাজারের অপর পার্শ্বে বান্দরবানের সীমানায় বিশ্ব পাড়া পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করেছে শুনেছেন। পরে তারা চলে যায়। এর পরও বর্তমানে ধোপাছড়ির সাধারণ মানুষ,ব্যবসায়ি,বাগান মালিক, সামান্য যাদের টাকা পয়সা আছে তারা আতংকে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

পূর্বকোণ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন