পুরো সিসি ক্যামেরার আওতায় বাংলাদেশের প্রথম শহর মাগুরা

cc camera
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক : জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ বলছেন, শহরে ইতিবাচক ফল আসায় তারা এখন স্থানীয় বিত্তবানদের সহায়তা নিয়ে উপজেলা পর্যায়েও ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মাগুরা শহরের পুরোটাই এখন ক্লোজ সার্কিট বা সিসি ক্যামেরার আওতায়।

মার্কেট ও ব্যবসা কেন্দ্রগুলো ছাড়াও শহরের কুড়িটির মতো স্থানে স্থাপন করা হয়েছে একশ’র বেশি ক্যামেরা।
পুলিশ বলছে, ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের কারণে একমাসেই শহরে অপরাধ সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সন্তুষ্ট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষও, এমনকি কলেজগুলোর সামনে নেই আর বখাটের উৎপাত।

চরমপন্থি নানা গোষ্ঠীর তৎপরতা ও নানা সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রায়সময়ই আলোচনায় এসেছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ের সাথে সংযুক্ত মাগুরা শহরের নাম।

পুলিশ বলছে, শহরের পর ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে জেলার অন্য উপজেলা সদরগুলোতেও।
মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল বলছেন, মার্কেট ও ব্যবসা কেন্দ্রগুলোতে ক্যামেরা স্থাপনে অর্থ দিয়েছেন তারা নিজেরাই।

কিন্তু ব্যবসায়ীদের কেন এ ধরনের ক্যামেরা স্থাপন করতে হল কিংবা যে সব সমস্যার কারণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের সেসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বণিক সমিতির সভাপতি
মুন্সি হুমায়ুন কবীর রাজা বলেন, ক্যামেরা স্থাপনের কারণে তারা এখন নিরাপদ বোধ করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ বলছেন, পুরো শহরটি সিসি ক্যামেরার আওতায় পর শহরের অপরাধ কর্মকাণ্ড অনেকটা কমে গেছে।

তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে একটি ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে গিয়ে বিষয়টি তার মাথায় আসে। পরে মাগুরায় এসে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনার পর সবাই এগিয়ে আসেন।

তিনি জানান, তিনি সহ সরকারি কর্মকর্তারাও অনেকে নিজ নিজ অফিস এলাকায় ক্যামেরা স্থাপনে অর্থ দেয়া সহ নানা সহায়তা করেছেন।

কিন্তু রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দুরের মাগুরা শহরের অধিবাসীদের মধ্যে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া কেমন ? শহরের আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সূর্যকান্ত বিশ্বাস বলেন, মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এমনকি কলেজের সামনে বখাটের উৎপাতও কমে গেছে অনেক।

এসপি মি. উল্লাহ বলছেন, শহরে ইতিবাচক ফল আসায় তারা এখন স্থানীয় বিত্তবানদের সহায়তা নিয়ে উপজেলা পর্যায়েও ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন।তার বিশ্বাস সব উপজেলায় এটি করতে পারলে সন্ত্রাস প্রবণ জেলাটি পরিণত হবে একটি নিরাপদ শহরে।

উৎস : বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন