পেকুয়ায় এক যুবককে জবাই করে হত্যার তিনদিন পারও কোন ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ
পেকুয়া সংবাদদাতা :
পেকুয়ায় এক যুবককে রাতের আধাঁরে জবাই করে হত্যা করার তিন দিন পার হলেও কোন ক্লু বের করতে পারেনি থানা পুলিশ। জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ভেলুয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার পর দিন লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছিল।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ওই এলাকার মাহামুদুল হকের পুত্র জসিম উদ্দিন (১৮) কে গভীর রাতে কে বা কারা গলায় চুরি চালিয়ে জবাই করে হত্যা করে ফেলে যায়। নিহতের বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ পাওয়া যায়। সকালে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এলাকার লোকজন জানায়, নিহত জসিম উদ্দিন সোমবার রাতে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে রাস্তার পাশে জমিতে ফেলে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, জসিম একই এলাকার শাহ আলমের মেয়ের কানছেদা অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান শেষে রাতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। নিহতের পিতা মাহমুদুল হক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবি করেন। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া পেকুয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) খালেকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে নিহত জসিম উদ্দিনের পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা তিনদিন পার হলেও এখনো কোন ধরণের ক্লু বের করতে পারেনি পেকুয়া থানা পুলিশ। এখন শুধু নিহত জসিমের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। এলাকাবাসীর দাবী কি কারণে একজন নিরহ যুবককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার ক্লু বের করতে পুলিশ কাজ করছে আসল দোষীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।