পেকুয়ায় ওয়াকফ জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় ওয়াকফ জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন এলাকায়।

জমি দখলকে কেন্দ্র করে মগনামা ইউনিয়নে স্থানীয় দু’পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করায় যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় রয়েছে এলাকাবাসী। ওয়াকফ’র ওয়ারিশ ও যুগ্ম মোতোয়াল্লী প্রতিপক্ষের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওয়াকফ প্রশাসক ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সহায়তা চেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আজগর আলী সিকদার ওয়াকফ এস্টেটের জমি দখলে নিতে সিকদারপাড়া এলাকার এস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আর্শেদুল মোস্তফা ও মরহুম জিল্লুর করিমের ছেলে আবদুল মজিদ তৎপর হয়েছেন। তারা মকবুল আহমদ গংদের চৌদ্দ ওয়ারিশের ওয়াকফ’র জমি নিজেদের দাবী করে দখল করার জন্য গত ৪ দিন আগে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জমিতে যায়। এসময় লবণ মাঠ থেকে ওয়াকফর বর্গাচাষাদের তাড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে ওয়াকফর ওয়ারিশ মকবুল আহমদ গংদের পক্ষে কার্যকারক সিকদারবাড়ি এলাকার মাষ্টার আহমদ হোসনের ছেলে ইকবাল হোসেন নিষেধ করে। এদিকে, বিএস ৮৪৫নং খতিয়ানের ২৭৬২কবলা মূলে ২০শতক জমি ক্রয় করেন ইসমাঈল। পরবর্তীতে পৃথক চারটি নোটারী মূলে ইসমাঈল হোসেনকে মকবুল আহমদ গংদের ওয়ারিশরা ওয়াকফ’র জমির দেখভালো করতে নিয়োগ দেন। ২০শতক জমিতে ইসমাঈল পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করেছেন ৪/৫ বছর ধরে। কিন্তু ওইদিন আর্শেদ ও মুজিব দলবল নিয়ে ওই পোল্ট্রি খামারে হানা দেয়। এমনকি ভাংচুর চালায়।

জায়গার বিষয়ে আবদুস ছমদ সিকদারের মোতোয়াল্লী ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু মীমাংসা করেন। জমি আবদুর রহমান সিকদারের ওয়ারিশ ইসমাঈল হোসেনকে ভোগ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এব্যাপারে, আবদুর রহমান সিকদার ওয়াকফ এস্টেটের যুগ্ম মোতোয়াল্লী ইমরুল কায়েস জানায়, আর্শেদ আমাদের ওয়াকফ’র জমি দখল করতে লোকজন নিয়ে হানা দেয়। আমরা কারো জমি দখল করার চেষ্টা করিনি। আমরা বৈধ মোতোয়াল্লী। ওয়াকফে আমাদের জমির রেকর্ড আছে। আমরা প্রতি বছর হিস্যা দিচ্ছি। মকবুল আহমদের জমি আর্শেদ ও মুজিব ভোগ করার কে? তারা অন্য ওয়াকফ’র ওয়ারিশ। আবদুর রহমান সিকদার ও মকবুল আহমদের ওয়াকফ’র ওয়ারিশরা ভোগ করবে।

এছাড়া বিরোধীয় বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি গ্রাম আদালতেও মামলা ছিল। কাগজপত্র পর্যালোচনায় ইসমাঈল হোসেন বৈধ থাকায় তার পক্ষে রায় দেয় গ্রাম আদালত।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন