পেকুয়ায় কোন মামলা ছাড়াই এক ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন চালালেন ওসি!

pic pekua-1.psd
 
 এ.এম.জুবাইদ, পেকুয়া:
পেকুয়ায় কোন মামলা ছাড়াই এক ব্যবসায়ীকে থানা হাজতে সারাদিন আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে পেকুয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে। এঘটনা সম্পর্কে জানাজানি হলে ওসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। তারা এ ঘটনায় পেকুয়া থানার ঘুষখোর ও বিতর্কিত ওসির অপসারণ ও দাবী করেছেন।  ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পেকুয়া থানায়।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা হরিণাফাঁড়ী গ্রামের বদিউল আলমের পুত্র গাছ ব্যবসায়ী মো: কাইছার (৩৭) কে ঘটনারদিন পেকুয়া বাজারস্থ এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকার জন্য গেলে পেকুয়া থানার ওসি মাঈন উদ্দিন আহমদ একদল পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর শুরু হয় এ ব্যবসায়ীর উপর পুলিশের বেপরোয়া নির্যাতন।
     পুলিশের নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী মো: কাইছার অভিযোগ করেছেন, কোন মামলা ছাড়াই তাকে ওসির নির্দেশে কয়েকজন পুলিশ পেকুয়া বাজার থেকে টেনে হিছড়ে থানায় এনে আটকে রাখেন ওসি। থানা হাজতে আটকে ওসি তাকে ব্যাপক কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে বলতে থাকে শালা তুই লাকড়ির ব্যবসা করিস অবৈধভাবে, মাসে মাসে আমাকে চাঁদা দেসনা, আজ মজা বুঝাব তোকে শালা, এসব কথা বলে তাকে মারতে থাকেন। পরে সন্ধার দিকে খবর পেয়ে স্থানীয়রা থানায় এসে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এসময় ওসি অবস্থার বেগতিক দেখে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে একটি সাদা কাগজে জোরপূর্বকভাবে স্বাক্ষর আদায় করে ব্যবসায়ী কাইছারকে ছেড়ে দেন। কোন মামলা বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে আটক করে থানা হাজতে নির্যাতনের বিষয়টি মানবাধিকারের চরম লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা পেকুয়া থানার ওসি এম, মাঈন উদ্দিন আহমদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীসহ বিতর্কিত ওসি কে জরুরী ভিত্তিতে বদলী করার জন্য উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে গত বৃহ:স্পতিবার পেকুয়া থানায় ২মহিলাকে সারাদিন আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালানোর ও অভিযোগ রয়েছে ওসির বিরুদ্ধে। নির্যাতিত এক নারী ওসির অপসারণের দাবীতে পেকুয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও করেছে।     
     এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়া থানার ওসি এম, মাঈন উদ্দিন আহমদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন