পেকুয়ায় চিংড়ি ঘের দখল নিতে ফাঁকা গুলি

গুলিবর্ষণ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙা কুমপাড়া এলাকায় চিংড়ি ঘেরের দখল নিতে প্রতিরাতেই উপর্যপুরি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করছে একটি সন্ত্রাসীদল। এতে এলাকার মানুষের পাশাপাশি ঘের মালিক ও কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘেরটি দখলে নিতে ইতিমধ্যে বাঁধ কেটে দিয়ে এবং জাল বসিয়ে উৎপাদিত চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ টাকার মাছও লুট করেছে সন্ত্রাসীদলটি।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে একই সন্ত্রাসীদল ওই ঘেরের কাছে গিয়ে অন্তত ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে ঘের কর্মচারীরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায় বলে ঘের মালিকেরা অভিযোগ করেছেন।

ঘের মালিক মগনামা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সোলাইমান ও মোহাম্মদ হাছান অভিযোগ করেছেন, ‘জিশান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ১৫ একরের চিংড়িঘেরটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। গত একসপ্তাহ ধরে প্রতিরাতে উপর্যপুরি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসীরা তা-ব চালিয়ে ওই ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে এবং জাল বসিয়ে উৎপাদিত চিংড়ি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানা’।

ঘের মালিকেরা বলেন, ‘শুক্রবার রাতে কর্মচারীদের নিয়ে আমরা ঘের এলাকায় গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা অন্তত ১৫ সদস্যের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী উপর্যপুরি ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় অন্তত ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পাই ঘের মালিক ও কর্মচারীরা’।

তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে জিশান উদ্দিন বলেন, ‘যে ঘেরটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি বলে কিছু চাঁদাবাজ অভিযোগ করছেন, তা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। ঘেরটিও আমার পরিবারের। ইতিপূর্বেও আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করায় ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমি থানায় মামলা করেছি। মুলত এসব কারণে আমাকে ঘায়েল করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন’।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিংড়ি উৎপাদনের মৌসুমে ঘেরে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ সংক্রান্ত কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি’।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন