পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কাজ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। গ্রাম আদালতে সীমানা বিরোধ নিয়ে মামলা ছিল। নিস্পত্তির আগে প্রতিপক্ষ পেশী শক্তির জোরে ওই স্থানে বসতঘর নির্মাণ কাজ আরম্ভ করে।

এদিকে বিরোধপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থানে নির্মিত বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া গ্রামে।

পেকুয়া থানার এ,এস,আই জাহিদুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, পরিমাপসহ বিরোধীয় বিষয় নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে থানায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জায়গার প্রকৃত মালিক রাজাখালী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত.আবুল হোসেনের পুত্র আহমদ কবির বাদি হয়ে তার প্রতিবেশী মৃত. ঈমাম শরীফের পুত্র আশরাফ মিয়া গংদের বিরুদ্ধে গত ২৮এপ্রিল পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই অভিযোগটি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রাপ্তসূত্রে জানা গেছে, রাজাখালী মৌজার আর.এস ৫১৮নং ৩৪৯নং খতিয়ান বিএস ৪৫২ ও ৩৯৯খতিয়ানের আন্দরে বসত ভিটার ৫শতক জায়গার নিয়ে আশরাফ মিয়া গংদের সাথে আহমদ কবির গংদের বিরোধ চলছিল। এনিয়ে আহমদ কবির গং অভিযোগ করেছেন তাদের শত বছরের দখলীয় পুকুর পাড়ের ওই ৫শতক জায়গা আশরাফ মিয়া গং সম্প্রতি জবর-দখলের জন্য তৎপর হয়েছেন। এনিয়ে তিনি রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে একটি মামলাও করেন।

চেয়ারম্যান সরেজমিন পরিদর্শনে পরিমাপ করে ৫শতক জায়গা তাদের অনুকূলে রেখে সীমানা নির্ধারণ করেন। সম্প্রতি আশরাফ মিয়া গং গ্রাম আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে পুকুর পাড় অংশে একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।

তারা জানিয়েছেন আশরাফ মিয়া গং জনবল ও পেশী শক্তির জোরে তাদেরকে অনেকটা অসহায় করে রেখেছে। যা নিয়ে তাদের পরিবার ওই জায়গার বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের চরম রোষাণলে পড়েছেন। জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ ইউএনও ও পেকুয়া থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানিয়েছেন, বিষয়টি আমি একবার গিয়ে নিষ্পত্তি করেছিলাম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন