পেকুয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন অব্যাহত রেখেছে দুবৃর্ত্তরা

 

PEKUA PIC. 16-10-14d

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের তারাবনিয়ারপাড়া এলাকায় একদল স্বশস্ত্র দুবৃর্ত্ত চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীনে পহরচাদা বনবিটের সৃজিত সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন অব্যাহত রেখেছে। ওই এলাকার উপকারভোগী ও বনবিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে প্রতিদিনই সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ট্রাক ও ট্রলী ভর্তি করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে।

পর্যাপ্ত বনভ’মি সৃজন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা জন্যে সরকার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এসব বনায়ন সৃজন করছিল। গাছ গুলো দু এক বছর পর চুক্তি অনুযায়ী কেটে ফেলার কথা থাকলেও সরকার ও উপকার ভোগীদের বঞ্চিত করতে সংঘবদ্ধ দৃর্বৃত্তরা মূল্যবান গাছ গুলো সাবাড় করে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয় সচেতনমহল।

জানা যায়, ওই পহরচাঁদা বনবিভাগের জায়গায় বিগত ২০০৬ সাল থেকে ওই এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র রফিকুল ইসলাম, আবদুল বারীর পুত্র কামাল হোছন, তার ভাই ছামাদ আলী, ছমি উদ্দিনের পুত্র মাষ্টার ফজল গং বনবিভাগের জায়গায় আকাশ মনি, ম্যালেরিয়া, কাঁঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে বাগান করে নিয়মিত পাহারা দিয়ে এতদিন অক্ষত রেখেছিল। গত পনর দিন ধরে পার্শ্ববর্তী বরইতলী ইউনিয়নের আফালিয়াকাটা এলাকার আবদুস সালামের পুত্র বনদস্যূ শাহ আলমের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের দুবৃর্ত্ত দেশীয় অস্ত্র স্বশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ওই বাগানের প্রতিনিয়ত হানা দিয়ে কখনো রাতে আবার কখনো দিন দুপুরে গাছ কেটে ট্রলি ও পিকআপ ভর্তি করে বিভিন্ন করাতকল ও সওদাগরদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

বাগান মালিকরা বলেন, শাহ আলম স্বশস্ত্র লোক নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গতরাতেও শতাধিক গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাগানের উপকারভোগী রফিকুল ইসলাম জানান,গত রাতে ওই দুবৃর্ত্তরা এসে বাগানের লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে বাগানের গাছগুলি কেটে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এর আগে ও তারা অনেক ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করেছে। তাছাড়া তারা ওই সামাজিক বনায়ন জবরদখল করতে কয়েকদিন আগে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষন করে কয়েকটি নির্মিত ঘর ভাংচুর করে ও লুটপাট চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আতংক ছাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ আর গাছ নিধনে বাধা দিতে আসেনা।

প্রশাসনের লোকজন দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় তাদের ধমাতে পারছেনা। এ ব্যাপারে পাহর চাদা বিটের ভারপ্রাপ্ত বিট অফিসার হারুনুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাগানের গাছ কাটার ব্যাপারে অবগত রয়েছেন বলে জানান। আমি সকালে পরিদর্শন করেছি। এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের এসিএফ মোহাম্মদ শোয়াইব জানান, গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে বন আইন অনুযায়ী মামলা রুজর প্রস্তুতি চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন