পেকুয়ায় ফার্মেসীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঔষুধ জব্দ

অধিকাংশ ফার্মেসীতে ফার্মাসিষ্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স নেই॥ হোমিও ফামের্সীগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ
pic.pekua drug-16-10-14

এম.জুবাইদ.পেকুয়া:
পেকুয়া বাজারে ফার্মেসী সমুহে ভেজাল বিরুধী অভিযান পরিচালনা করেছে কক্সবাজারের ঔষুধ তত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ অক্টোবর বিকাল ৫ টার দিকে কক্সবাজার ঔষুধ তত্বাবধায়ক হোছাইন মুহাম্মদ ইমরান ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রধান এ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ওষুধের দোকান গুলোতে বিপুল পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী ও ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। পেকুয়া বাজারের উপকুলীয় ফার্মেসী, এন.হোছাইন ফার্মেসী, পপুলার ফার্মেসী, মাষ্টার ফার্মেসী, উষা ফার্মেসী, প্যান ইসলামিক হাসপাতাল সহ পেকুয়া হোমিও মেডিকেল, জার্মান হোমিও মেডিকেল হলে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ওষুধ তত্বাবধায়ক হোছাইন মো.ইমরান বলেন, পেকুয়া বাজারের একটি ফার্মেসীতেও ফার্মাসিষ্ট নেই। ড্রাগ লাইসেন্স সঠিক আছে খুব কম দোকানে। প্রত্যেক দোকানে সরকারী রেজিষ্টার্ড ওষুধ তালিকার বাইরে কমবেশী ফার্মেসী ওষুধ বিক্রি করছে যা সরকারী নিয়মনীতির পরিপন্থী। এদিকে সবচেয়ে বড় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে পেকুয়া উপজেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা.আশেক উল্লাহর পেকুয়া বাজারের পান বাজার রোড়স্থ পেকুয়া হোমিও মেডিকেল হলে। ওই দোকানে লাইসেন্সও নেই আবার সরকারী রেজিষ্টার্ড তালিকার বাইরের অনেক ওষুধ পাওয়া গেছে। যা সিলগলা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে হোমিও দোকান গুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভেজাল ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হোমিও চিকিৎসকের ব্যানারে এরা বিভিন্ন নাম সর্বস্ব হারবাল কোম্পানীর ওষুধ বিক্রি করছে যা সরকারী রেজিষ্টার্ড নেই। একটি ওষুধের দোকানে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিষ্ট থাকা বাধ্যতা মুলক হলেও পেকুয়ার ফার্মেসীগুলো চলছে ফার্মাসিষ্ট ছাড়া। পেকুয়া চৌমুহনী ও পেকুয়া বাজারে দুডজনের মতো ফার্মেসী রয়েছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এসব ফার্মেসী চালানু হলেও এতদিন পেকুয়ায় ওষুধ তত্বাবধায়ক বা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোন প্রকার অভিযান চালানু হয়নি।

জানা যায়, এ অভিযানে কয়েকটি ফার্মেসী থেকে বিপূল পরিমান ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। আর কিছু নাম সর্বস্ব কোম্পানীর ওষুধ স্বাস্থ্য উপযোগীতা ও গুণগত মান পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। জব্দ তালিকার মধ্যে রয়েছে হাসমুরগীর ওষুধ, রানীক্ষেত, ডাক্সোলিন, রক্সিন, টেষ্টি সালাইন, নিষিদ্ধ লিকোয়েড সহ অসংখ্য হারবাল ওষুধ সামগ্রী। এদিকে সচেতন মহল সহ সর্বত্রে তোলপাট সৃষ্টি হয়ে ডা. আশেক উল্লাহ একজন উপজেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক হয়েও নিজেই বিশাল দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াও অনুমোদন বিহীন কোম্পানীর মানহীন ওষুধ বিক্রি করায়।

এদিকে বাজারের পূর্ব পাশে ফার্মেসীতে ভেজাল বিরুধী অভিযান শুরু হলে পশ্চিম পাশের বাবুলের খাজা ফার্মেসী ও ফোরকান ফার্মেসী দ্রুত দোকান বন্ধ করে কেটে পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন