পেকুয়ায় ৯ হাজার নতুন ভোটার এখনো আইডি কার্ড বঞ্চিত

 নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়ায় ৯ হাজার নতুন ভোটার এখনো আইডি কার্ড বঞ্চিত রয়েছে। জানা যায় সম্প্রতি পেকুয়া উপজেলায় সবকয়টি ইউনিয়নে আগের ভোটার তালিকা অন্তভুক্ত হয় নাই এবং নতুন ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত হয়েছে এমন ৯ হাজার ভোটার এখনো ভোটার কার্ড (আইডি কার্ড) পায়নি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ওই ৯ হাজার নতুন ভোটারের কার্ড উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা হয়েছে। কিন্তু এসব কার্ড বিতরণের জন্য এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেকুয়ায় অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তেমন কোন কার্ডের প্রয়োজন না হলেও ওই সব ভোটারদের ব্যক্তিগত কাজে চরম অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়েছে।

আগামী ২৭ জানুয়ারী আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও  এখনো ওই সব নতুন ৯ হাজার ভোটার তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র মেলেনি। ভোটারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পাবে কিনা এমন সন্দেহে ভোগছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য থাকায় ভোটারদের আইডিকার্ড পেতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন নির্বাচন কালীন সময়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কান্তি চৌধুরী কে নির্বাচন কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ৯ হাজার ভোটারদের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়া কথা থাকলেও তা উল্টো হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তারা আইডিকার্ড নিতে গেলে ভোটার ফরম পূরণের সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা প্রতি ভোটারদের কে একটি টোকেন দিয়ে এসেছিল। কিন্তু আজ ঐ টোকেন ছাড়া আইডিকার্ড প্রদান করছে না ঐ কর্মকর্তা। ভোক্তভোগিরা আরো জানিয়েছেন অশিক্ষিত অদক্ষ লোক হওয়ায টোকেন হারিয়ে যায়। অন্যান্য বছরে আইডিকার্ড স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা তথ্য সংগ্রহকারীদের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌছেছিল। এ বছর তার ব্যতিক্রম ঘটছে ফলে হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তপন কান্তি চৌধূরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ভোটারদের কোন সন্দহ করার প্রয়োজন নাই ভোটার তালিকা দেখে ভোট দিতে পারবে তবে নির্বাচনের সাথে আইডিকার্ডের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। টোকেন নিয়ে এসে আমার দপ্তরের রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করে কার্ড নেওয়া যাবে। 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন