পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌং বাজারের ইজারা নিয়ে চরম উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের ইজারা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ফলে বাজার জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছে প্রশাসন। সূত্রে জানা গেছে উপজেলা প্রশাসন বাজার সম্প্রতি ইজারা দিলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, পেকুয়া কো অপারেটিভ ক্রেড়িট ইউনিয়ন, জাফর ও ইসমাঈল সহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ উপজেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজার ইজারা নেওয়ার জন্য ফরম জমা করে।
সূত্রে জানা গেছে ২০১৪ সালে আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজার ইজারা ডাক দিলে বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ২১ লক্ষ টাকা এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ডাক দেয়। এতে উচ্চ মূল্য দেওয়ায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কে ইজারাদার হিসাবে নিয়োগ দেয়। পূর্বের ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হয় চৈত্র মাসের ৩১ তারিখে পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের পূর্বের মেয়াদ শেষ হলে ২০১৪ সালের ১ পহেলা বৈশাখ নতুন ইজারাদারের দিন শুরু হয়।
এর পর থেকে বর্তমান ইজারাদারের সাথে পূর্বের বিভিন্ন সাব ইজারাদারদের কে সাথে নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা বারেক, জসিম, গুরা বাদশা, ছরওয়ার, নাছির, ডাকাত জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম, শুক্কুর, মামুন, আমির হোসেন, বাদশা সহ বেশ কয়েকজন সিন্টিকেট করে সাব ইজারা পূনবহাল রেখে মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল নেওয়ার হুমকি দেয় ইজারাদারকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাব ইজারাদাররা পুনরায় সাব ইজারা নেওয়ার জন্য কথা বলে। বর্তমান ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম পূর্বের সাব ইজারাদারদের কে সাব ইজারা না দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা দেখা দেয়।
এতে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার ফলে বাজারের ব্যবসায়ী ও সওদা করতে আসা বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভয়ে দিকবেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন ছিল পেকুয়া থানা। ফলে পুরো বাজার জুটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের নতুন ইজারাদার হিসাবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল আদায় করে। পুলিশ মোতায়নের ফলে কোন ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি।
এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মিনহাজের সাথে কথা হলে তিনি জানান ইজারাদার ও সাব ইজারাদারদের মধ্যে ইজারা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে ইজারাদার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান বহু মামলার কয়েকজন আসামী আমাকে বাজারের টোল আদায় না করার জন্য হুমকি ধমকি শুরু করে সাব ইজারা দাবী করে অন্যতাই টাকা দাবী করে না হয় বাজারে টোল আদায় করতে দেওয়া হবেনা বলে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাজারের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষ হাওয়ার সম্ভবনা ছিল। সংঘর্ষ মোকাবেলা করার জন্য পুলিশ প্রস্তুত ছিল।