পৌষের বারতায় পর্যটকের পদভারে মুখরিত রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পার্বত্য জনপদ রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের অনেকখানী আবর্তিত হয় রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটিকে কেন্দ্র করে। রাঙামাটিতে পর্যটকদের পদচারণা ঘটে মূলত এই ঝুলন্ত সেতুটিকে ঘিরে।

দীর্ঘ তিনমাস ধরে পানির নীচে ডুবে থাকার পর শীতের আগমনী বার্তায় কাপ্তাই হৃদের পানি কমতে শুরু করায় ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ভেসে উঠেছে। এবার পৌষের বার্তায় পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে ঝুলন্ত সেতুটি।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানির নিচে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকার ফলে পর্যটন কর্পোরেশন ১৫-২০ লক্ষ আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শীতের মৌসুমে কাপ্তাই হৃদের পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠেছে ঝুলন্ত সেতুটি। তিনি আরো বলেন, সেতুটির থেকে পানি সরে যাওয়ায় এটি মেরামত করে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হচ্ছে সেতুটি। তবে অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় পর্যটকের সমাগম তুলনামূলক কম হচ্ছে। পরীক্ষা শেষের পর আবারো পর্যটন কর্পোরেশন মেতে উঠবে পর্যটকদের মুখরিতভারে।

সেতুটি ভবিষ্যতে না ডুবার ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা প্রশ্নের জবাবে বিকাশ চাকমা জানান, সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৯৮৬ সালে। তবে আমাদের এবার প্রচেষ্টা চলছে বর্ষা মৌসুমে সেতুটি যেন না ডুবে। সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। সেতুটি অনতিবিলম্বে ৬-৭ ফুট উপরে তোলার জন্য অথবা একটি আধুনিক মানের ঝুলন্ত সেতু নিমার্ণ করার। টিকেটের দাম বৃদ্ধির ব্যপারে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ছয় বছর পর বর্তমান বাজার এবং বাস্তব প্রেক্ষাপট চিন্তা করে এবারে টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে রংপুর থেকে বেড়াতে আসা আসাদ-শম্পা পর্যটক দম্পতি জানান, আমরা সূদুর রংপুর থেকে বেড়াতে এসেছি রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু এবং পাহাড় দেখার জন্য। এখনে অনেক ভাল লাগছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা একদল ছাত্ররা জানান, আমরা প্রতি বছর পাহাড় ঘেরা রাঙামাটিতে আসি ঝুলন্ত সেতু দেখার জন্য। পাশাপাশি এখানকার সবুজ ঘেরা পাহাড়ের নীরবতা, পরিছন্ন শহর মুগ্ধ করে তোলে। তাছাড়া ঝুলন্ত সেতুটির পাশাপাশি এখানে যদি বিভিন্ন ধরনের পর্যটন স্পট গড়া যায় তাহলে এ অঞ্চল পর্যটন সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন