প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
আব্দুল হামিদ:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত ২৯ জুলাই প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বলে জানালেন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হামজা। তিনি আরো বলেন, সামনে রয়েছে সমাপনী পরীক্ষা। কোথায় গিয়ে ঠাই হবে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে।
বিদ্যালয়টি বিগত ২০১৩ইং সালে জাতীয়করণের আওতায় পড়ে রেজিস্টার্ড থেকে সরকারীকরণ করা হয়।পরিচালনা কমিটি, এলাকাবাসী ও প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব অর্থায়নে দুই যুগ আগে নির্মাণ করা হয়। টিনসেট ও বাঁশের বেড়া দিয়ে।
টানা বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপন্দ্রে লাল কারবারী বলেন, তাদের হাতে এমন কোন ফান্ড নেই নতুন করে বিদ্যালয় নির্মাণ করে পুনরায় চালু করবে। তাই এখন সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানান।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এই দুর্গম জনপদের পাহাড়ী বাঙালীর গ্রামের আলো ছড়ানোর একমাত্র মাধ্যম।
প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় বর্তমানে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের পার্ঠদানতো দূরের কথা মাথা গুজানোর পর্যন্ত ঠাই নেই বিদ্যালয়টিতে। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বিদ্যালয়টি ।
শুধু ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক শিক্ষীকারা নয় এলাকাবাসীরাও তাদের ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা নিয়ে হাতাশাগ্রস্ত। বর্তমানে পড়া লেখা বন্ধ রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির উদ্যোগে একটি বাড়ীর বারান্দায় কোন রকমে পাঠদানের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার ক্যউচিং চাক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুতাহের কোম্পানী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদকে তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে অবহিত করেছেন বলে জানান।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহমদের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য সম্ভব হয় নাই।