ফটিকছড়িতে অপহৃত ৩ বন শ্রমিকের ২৫ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের

মুক্তিপণ
নিজস্বসংবাদদাতা, রামগড়:
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি সীমান্তের ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা দুইধ্যাখোলা থেকে বুধবার অপহৃত তিন বনশ্রমিকের মুক্তিপণ হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা দাবী করেছে অপহরণকারীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্র“প এ মুক্তিপণ দাবী করেছে। ফটিকছড়ির নানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ওসমান গনি বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তাঁর ইউনিয়নের গামারী তলা এলাকা থেকে গত বুধবার বিকালে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর একাধিকবার অপহরনকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েও কোন সফলতা আসেনি। অপহরণকারীরা ২৫লক্ষ টাকার মুক্তিপণের দাবীতে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

অপহৃতরা হলেন, এজাহার মিয়া (৪৫), হোসেন বলি (৪৬) ও আইয়ুব বলী (৪২) । তারা ফটিকছড়ির সর্তা বন বিটের দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক বলে জানাগেছে। শুক্রবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত তিন শ্রমিকের ভাগ্যে কি জুটেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। অপহৃতদের পরিবারের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। তারা তাদের পরিবারের এ তিন কর্তা ব্যক্তিকে উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে প্রচেষ্টা চলছে। এলাকাটি গহীন অরন্য এবং দুর্গম হওয়ায় অপহৃতদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্র জানায়, লক্ষ্মীছড়ি সীমান্তের কাছে ফটিকছড়ির ঐ দুর্গম পাহাড়ি[ এলাকাটি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত। ধারণা করা হচ্ছে, সংগঠনটির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তিন বন শ্রমিককে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীছড়ির গহীন জঙ্গলে আটকে রেখেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কাঠুরিয়ারা জানান, ঐ তিন বন শ্রমিককে চোখ বেঁধে সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যেতে তিনি দেখেছেন। তিনি আরও জানান,গত বছর একই এলাকা থেকে ইউছুফ নামের একজন ব্যবসায়ীকে পাহাড়ি সন্ত্রাসী ধরে নিয়ে হত্যা করে। এর আগে অপর এক ব্যবসায়ীকে অপহরন করে দেড় মাস আটকে রেখে মুক্তিপনের বিনিময়ে ছেড়ে দেয় ঐ সন্ত্রাসীরা।

লক্ষ্মীছড়ি জোনের খীরামস্থ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন জায়েদ জানান, অপহরনের এলাকাটি তাদের আিওতাধীন এলাকার বাইরে। তাছাড়া এ পর্যন্ত কেউ তাদের কাছে কোন প্রকার অভিযোগও করেনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন