ফসলের পোকা দমনে পানছড়িতে ‘আলোক ফাঁদ’
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আমনের মাঠে ফসলের ক্ষতিকর পোকা নির্নয় ও দমনে পরিবেশ বান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনায় নতুন পদ্ধতি যোগ হয়েছে ‘আলোক ফাঁদ’। এটি পোকা দমনের একটি জৈবিক পদ্ধতি।
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষীরা কোনো ধরণের খরচ ছাড়াই খুব সহজে ফসলের ক্ষতিকর পোকা সনাক্ত করে পোকার হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে পারবে। যার ফলে ফসলী জমিতে পোকা কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না এবং ফলনও হবে আশানুরূপ। পানছড়ির মির্জিবিল, সদর, তারাবন ও রাঙাপানিছড়াসহ ১৪টি ব্লকে আমনের মাঠে ‘আলোক ফাঁদ’ স্থাপন করেছে পানছড়ি কৃষি অধিদপ্তর।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই ফাঁদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থাপন করতে হয়। কারণ ঐ সময়টাতে পোকার চলাচল থাকে বেশী। এই ফাঁদ জমি থেকে ১০০ মিটার দূরে স্থাপন করতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন শেখ জানান, ফাঁদ হিসাবে অন্ধকারে বাতি জ্বালানো হয়। বাতি জ্বালালে বাদামী ঘাস ফড়িং, মাজরা পোকার মথ, পাতা মোড়ানো পোকার মথ, সবুজ পাতা ফড়িং সেদিকে আকৃষ্ট হয়ে ছুটে আসে। এসব পোকা ফাঁদের কাছে আসা মাত্রই আলোর নিচে রাখা গামলার পানিতে পড়ে যায়। গামলার পানিতে সাবানের গুড়া ও কোরোসিন মিশ্রিত থাকার ফলে পোকাগুলো আর উঠে আসতে পারে না। তারপর ধানের ক্ষতিকর পোকা সনাক্ত করা হয়। পরে জমির ধান রক্ষায় কি ধরণের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সে পরামর্শ দেয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: নজির আহাম্মদ জানায়, আলোর ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে মূলত পোকামাকড়ের উপস্থিতি জরিপ করা হয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুণাংকর চাকমা, মো: মানিক মিয়া, নয়ন্টু চাকমা, বিজয় চাকমা, সন্তোষ চাকমা, নির্বান চাকমা, শুভাশীষ চাকমা ও দিবস চাকমা জানায়, প্রতিটি ব্লকে আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে পোকা দমন পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে এবং কৃষকরাও আগ্রহ সহকারে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।