বাংলাদেশের টার্গেট ৩০৩ রান

BD_Cricket

খেলা ডেস্ক:
আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের পর শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ৩০২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ভারত। ওপেনার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে নিশ্চিত অবদান ছিল আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডের। শুধু তাই নয়, হাঁটুর সামান্য ওপরে বল থাকলেও ‘নো’ ডেকে রায়নাকে বাঁছিয়ে দেন ইংলিশ আম্পায়ার গোল্ড। রুবেলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েও শেষ পর্যন্ত আউট হলেন না রায় না। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ৬৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের হয়ে শতক হাঁকান রোহিত শর্মা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক হাঁকিয়ে ১২৬ বলে ১৪টি চার আর ৩টি ছয়ে রোহিত তার ১৩৭ রানের ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন সুরেশ রায়না। দলীয় ১১৫ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে এ দু’জন মিলে ১২২ রানের জুটি গড়েন।

মাশরাফির প্রথম বলেই স্কয়ার ড্রাইভ করে রোহিত শর্মা বল পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। এরপর লেগ বাই থেকে এলো আরও একটি বাউন্ডারি।

দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান আর রোহিত শর্মা শুরু থেকেই চড়াও বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাটিং উইকেট। সুতরাং, দু’জন মিলে দারুন সূচনা এনে দিয়েছেন ভারতকে।

মেলবোর্নের উইকেটে যে বোলারদের জন্য কিছুই রাখা হয়নি সেটা বোঝা গিয়েছিল শুরুতেই। যে কারণে বার বার বোলার পরিবর্তন করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। সাফল্য পাওয়ার জন্য ৬ষ্ঠ ওভারেই নাসির হোসেনকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন তিনি। ১১তম ওভারে নিয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। ১২তম ওভারে প্রথমবারেরমত বোলিংয়ে আনা হয় রুবেল হোসেনকে। দ্বিতীয় স্পেলে নাসিরকে আবারও আনা হয় ১৩তম ওভারে।

১৭তম ওভারেই প্রথম বোলিংয়ে আনা হলো সাকিব আল হাসানকে। এসেই তৃতীয় বলে ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানের উইকেট তুলে নিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের বল লাইন ছেড়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন ধাওয়ান। তবে বলের ফ্লাইট মিস করায় স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলেন মুশফিকের হাতে। দলীয় ৭৫ রানে ৫০ বলে ব্যাক্তিগত ৩০ রানে আউট হলেন ধাওয়ান।

অসাধারণ এক ব্রেক থ্রু। ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে মাঠে নামা মাত্রই সাজ ঘরে ফিরিয়ে দিলেন রুবেল হোসেন। ১৮তম ওভারের ৫ম বলেই রুবেলের আউট সুইঙ্গারে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে।

এরপরই ভারতের স্কোরকে দারুন চাপের মধ্যে ফেলে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ভারতের স্কোর বোর্ডে ১০০ রান উঠতেই ব্যায় হয়েছে ২৫.৫ ওভার। এরপরই বাংলাদেশকে আরও একটি ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৩৭ বলে ১৯ রান করা আজিঙ্কা রাহানেকে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন।

তবে এক পাশে ঠিকই বিপজ্জনক হয়ে উঠছেন রোহিত শর্মা। সুরেষ রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িয়ে চলছেন ভারতের রান। দু’জন মিলে ১০.১ ওভারে গড়েছেন ৭১ রানের জুটি। তবে ৩৮.১ ওভার হওয়ার পরই বৃষ্টি বন্ধ করে দেয় খেলা। যদিও হালকা বৃষ্টির শেষে ৫ মিনিট পর আবারও খেলা শুরু হয়।

আম্পায়াররা কতটা বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটা বোঝা গেলো রুবেলের বলে রায়না ক্যাচ তুললেও সেটাকে অহেতুক নো বল ডেকে বসা। তবে হাফ সেঞ্চুৃরি করে আর বেশিদুর এগুতে পারেননি রায়না। ৫৭ বলে ৬৫ রান করে মাশরাফির বলে সজোরে খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। উইকেটের পেছনে অনেকদুর দৌড়ে গিয়ে ক্যাচ তালুবন্দী করেন মুশফিক।

৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে কাভারে একটুর জন্য ক্যাচ হওয়া থেকে বেঁচে যান রোহিত শর্মা। তবে পরের বলেই রোহিতকে সরাসরি বোল্ড করে দিলেন তাসকিন আহমেদ। যবনিকাপাত ঘটলো ১২৬ বলে ১৩৭ রান করা বিধ্বংসি এক ইনিংসের।

৪৯তম ওভারের শেষ বলে মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও ফিরিয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ। কভার পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলে নাসির হোসেন সেটি তালুবন্দী করে নেন। ১১ বলে ৬ রান করে ফেরেন ধোনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন