বাঘাইহাটে সেনাবাহিনীর টহলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ

গুলিবর্ষণ

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

দুর্গম পাহাড়ে রাষ্ট্রিয় দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর স্বশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবেই বেড়ে চলছে। তারা পাহাড়ে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর উপর একের পর এক হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। পাহাড়ে সেনাসেদস্যদের উপর পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলিবর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলেও মানবাধিকার সংগঠন কিংবা সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বক্তব্য বা বিবৃতিও দেখা যায়না। আর এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মনে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইউপিডিএফ’র সিনিয়র আর্মস ক্যাডার আদিবাবু, দান্তো ও জুয়েল চাকমা এলাকাবাসীদের নিয়ে গোপন মিটিং করছে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সেখানে যায়। সেসময় সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলটি দেখতে পেয়ে তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকে। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে রাঙামাটির বাঘাইহাটস্থ করঙ্গাতলী এলাকায় গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। করঙ্গাতলীর স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র নিশ্চিত হয়েছে বাঘাইহাট সেনাজোন কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার বিবরণের জানা গেছে, দুপুরের দিকে বাঘাইহাটের করঙ্গাতলীতে ইউপিডিএফ‘র স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা স্থানীয় পাহাড়ী গ্রামবাসীদের নিয়ে জোর পুর্বক বৈঠকের চেষ্টা করছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টহলদল করঙ্গাতলী এলাকায় যায়। সেনাবাহিনীর টহলদলের উপস্থিতি জানতে পেরে সেখানে আগে থেকে থাকা স্বশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা সেনাসদস্যদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে। সেনাবাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে। তবে তার আগেই সন্ত্রাসীরা গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঘাইহাট সেনা জোনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপিডিএফ‘র সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাবাহিনীল উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা পরিকল্পিত। তবে এতে আমাদের কেউ আহত হয়নি।

প্রসঙ্গগত, গেল ২৩ এপ্রিল সাজেকের একুজ্জাছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল দলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় সন্ত্রাসী সুপ্রীম চাকমা ও তার সশস্ত্র সহযোগীরা। এসময় সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সুপ্রীম চাকমা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন