বান্দরবানে আটক বৌদ্ধ ভিক্ষু ৩ দিনের রিমাণ্ডে
স্টাফ রিপোটার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির পাহাড়ী ১১ শিশু কন্যা মিয়ানমারে পাচারের ঘটনায় আটককৃত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরিসহ ২ পাচারকারীকে ৩ দিনের রিমাণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার ১১ শিশু মিয়ানমারে পাচারে অভিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি ও তার সহযোগী উচা থোয়াইকে বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করে পুলিশ। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত উভয়ের তিনদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে। এ সময় উদ্ধার হওয়া ১১শিশুকেও আদালতে হাজির করা হয়। শিশুদের শারীরিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুনরায় সোমবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
পুলিশের দাবি, শিশুরা পুলিশের কাছে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে কয়েকজনকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মিয়ানমার থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক শিশু শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। শিশুদের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে হাজির করা হবে। অপর দুই শিশুর এখনো কোনো ধরণের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত: রোয়াংছড়ির ১৪ শিশু কন্যাকে বিনা খরচে লেখাপড়ার কথা বলে বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মিতিংঙ্গ্যা ছড়ি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারে পাচার করে। পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় ভান্তে উত্তমানন্দ ও ক্ষেমানন্দ এবং মুংডু শহরের প্রধান ভিক্ষুর মাধ্যমে ১১ শিশুকে উদ্ধার করে।